১২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢালিউডের নায়কদের কার, কতো পারিশ্রমিক

বিনোদন প্রতিবেদক
  • সময় ১০:৩০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 17

ঢালিউডের নায়কদের পারিশ্রমিক কত

শত বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকাইয়া সিনেমা। নানা সংকট, তবুও এই শিল্পের টানে প্রতিবছর অসংখ্য মেধাবী মুখ হাজির হচ্ছেন নিজের সর্বোচ্চটা নিয়ে।

ধীরে ঢালিউডেও প্রযুক্তির বিকাশ, দর্শকদের রুচির পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক মানের কনটেন্টের প্রতিযোগিতা বেড়েছে। যা এই শিল্পকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। বেড়েছে এই শিল্পের অর্থলগ্নিকারিও। তাই ঢালিউডের নায়কদের পারিশ্রমিকও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেকগুণ। যদিও তা বর্তমান বাস্তবতায় অনেক কম।

তবে যে দু-একজন খ্যাতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে; তারা ঠিকই এই শিল্পে নিজের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন জ্যামেতিক হারে। আজ আমরা জানব, ঢালিউডের সেরা অভিনেতারা কে, কতো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন এবং তারা কিভাবে এই অবস্থানে পৌঁছেছেন।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া নায়ক হলেন শাকিব খান। ঢালিউডের কিং খান হিসেবেই সবাই তাকে মানে। দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে রয়েছেন।

জনপ্রিয় এই অভিনেতা বর্তমানে, প্রতিটি ছবির জন্য নিচ্ছেন দেড় কোটি টাকা। কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, দাদী মা – তার অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা তাকে ঢালিউডের সুপার স্টারে পরিণত করেছে।

পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন আরিফিন শুভ। মডেলিং থেকে ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিনেতা এখন প্রতিটি ছবির জন্য নিচ্ছেন ১৫-২০ লাখ টাকা। অভিনয়ে দক্ষতা, নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের ইচ্ছা এবং পরিশ্রম তাকে ঢালিউডে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।

শরীফুল রাজ, যার নাম একসময় অনেকে জানত না, কিন্তু ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’ সিনেমার সাফল্যের পর তার পারিশ্রমিক পৌঁছেছে ১৫-২৫ লাখ টাকায়। সিনেমা বক্স অফিসে হিট হলে অভিনেতাদের সম্মানী যে দ্রুত বাড়তে পারে, তার প্রমাণ তিনি।

একজন সফল টেলিভিশন অভিনেতা থেকে বড় পর্দার নায়ক হিসেবে রূপান্তর ঘটেছে আফরান নিশোর ক্ষেত্রে। ২০২৩ সালে ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করে তিনি বর্তমানে ২০-২৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।

সিয়াম আহমেদ, যিনি ‘পোড়ামন-২’ দিয়ে আলোচনায় আসেন, বর্তমানে ৮-১২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। তার অভিনয়ের ধারা এবং স্ক্রিপ্ট বাছাইয়ের বুদ্ধিমত্তা তাকে ঢালিউডের একজন স্থায়ী তারকায় পরিণত করছে।

ইমন, নিরব, সাইমন সাদিক এবং বাপ্পী চৌধুরী – এরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন এবং ৫-১০ লাখ টাকার মধ্যে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। তারা ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।

নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে আদর আজাদ ও জিয়াউল রোশান ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। তাদের পারিশ্রমিক বর্তমানে ৩-১০ লাখ টাকার মধ্যে থাকলেও ভবিষ্যতে তা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এখন একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দর্শকদের প্রত্যাশা যেমন বাড়ছে, তেমনি অভিনেতাদের পারিশ্রমিকও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অভিনেতারা কি ঢালিউডের শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন, নাকি শাকিব খানের মতো কিংবদন্তিরা তাদের রাজত্ব ধরে রাখবেন? উত্তর লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের চলচ্চিত্রে

শেয়ার করুন

ঢালিউডের নায়কদের কার, কতো পারিশ্রমিক

সময় ১০:৩০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

শত বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকাইয়া সিনেমা। নানা সংকট, তবুও এই শিল্পের টানে প্রতিবছর অসংখ্য মেধাবী মুখ হাজির হচ্ছেন নিজের সর্বোচ্চটা নিয়ে।

ধীরে ঢালিউডেও প্রযুক্তির বিকাশ, দর্শকদের রুচির পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক মানের কনটেন্টের প্রতিযোগিতা বেড়েছে। যা এই শিল্পকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। বেড়েছে এই শিল্পের অর্থলগ্নিকারিও। তাই ঢালিউডের নায়কদের পারিশ্রমিকও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেকগুণ। যদিও তা বর্তমান বাস্তবতায় অনেক কম।

তবে যে দু-একজন খ্যাতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে; তারা ঠিকই এই শিল্পে নিজের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন জ্যামেতিক হারে। আজ আমরা জানব, ঢালিউডের সেরা অভিনেতারা কে, কতো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন এবং তারা কিভাবে এই অবস্থানে পৌঁছেছেন।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া নায়ক হলেন শাকিব খান। ঢালিউডের কিং খান হিসেবেই সবাই তাকে মানে। দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে রয়েছেন।

জনপ্রিয় এই অভিনেতা বর্তমানে, প্রতিটি ছবির জন্য নিচ্ছেন দেড় কোটি টাকা। কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, দাদী মা – তার অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা তাকে ঢালিউডের সুপার স্টারে পরিণত করেছে।

পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন আরিফিন শুভ। মডেলিং থেকে ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিনেতা এখন প্রতিটি ছবির জন্য নিচ্ছেন ১৫-২০ লাখ টাকা। অভিনয়ে দক্ষতা, নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের ইচ্ছা এবং পরিশ্রম তাকে ঢালিউডে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।

শরীফুল রাজ, যার নাম একসময় অনেকে জানত না, কিন্তু ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’ সিনেমার সাফল্যের পর তার পারিশ্রমিক পৌঁছেছে ১৫-২৫ লাখ টাকায়। সিনেমা বক্স অফিসে হিট হলে অভিনেতাদের সম্মানী যে দ্রুত বাড়তে পারে, তার প্রমাণ তিনি।

একজন সফল টেলিভিশন অভিনেতা থেকে বড় পর্দার নায়ক হিসেবে রূপান্তর ঘটেছে আফরান নিশোর ক্ষেত্রে। ২০২৩ সালে ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করে তিনি বর্তমানে ২০-২৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।

সিয়াম আহমেদ, যিনি ‘পোড়ামন-২’ দিয়ে আলোচনায় আসেন, বর্তমানে ৮-১২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। তার অভিনয়ের ধারা এবং স্ক্রিপ্ট বাছাইয়ের বুদ্ধিমত্তা তাকে ঢালিউডের একজন স্থায়ী তারকায় পরিণত করছে।

ইমন, নিরব, সাইমন সাদিক এবং বাপ্পী চৌধুরী – এরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন এবং ৫-১০ লাখ টাকার মধ্যে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। তারা ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।

নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে আদর আজাদ ও জিয়াউল রোশান ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। তাদের পারিশ্রমিক বর্তমানে ৩-১০ লাখ টাকার মধ্যে থাকলেও ভবিষ্যতে তা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এখন একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দর্শকদের প্রত্যাশা যেমন বাড়ছে, তেমনি অভিনেতাদের পারিশ্রমিকও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অভিনেতারা কি ঢালিউডের শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন, নাকি শাকিব খানের মতো কিংবদন্তিরা তাদের রাজত্ব ধরে রাখবেন? উত্তর লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের চলচ্চিত্রে