ঢাবির প্রো-ভিসি ড. মামুন মুখ খুলেছেন
- সময় ০৮:২৮:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
- / 54
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার সময় ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো ভিসির (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের ধৈর্য থাকার অহ্বান জানিয়ে ড. মামনু আরো বলেন, এতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার পর ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ অহ্বান জানান।
উপ-উপাচার্য বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে আমার অফিসে আলোচনাকে কেন্দ্র করে রাতে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে তা দুঃখজনক। এতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু পরিবেশে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই ভুল বোঝাবুঝি অবসান ঘটবে।
এ ঘটনার মধ্যেই নীলক্ষেত মোড়ে ঢাবি শিক্ষার্থী ও অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ চলছিল। শিক্ষার্থীদের থামাতে সংঘর্ষস্থলে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।
এর আগে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ঢাবি প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করতে আসা সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়েছেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ এতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা পিছু হটে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। তবে উভয় পক্ষের মধ্যেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ চলছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব, টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এরপর রাজধানীর তাঁতীবাজারেও অবরোধ করেন তারা
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, এবিষয়ে ২১ দিন আগে তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটি পড়েননি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চিনেন না বলেই তিনি আক্রমণমূলক ব্যবহার করেছেন। তাই তার অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান অশোভন আচরণের জন্য ঢাবি প্রোভিসিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৫ দফা দাবির কথা জানান। সেগুলো হচ্ছে — ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে; শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না; শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে; নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে; সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো ভিসির (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ আরও বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাবি ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সব পক্ষকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।