ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-কুয়াকাটা রেললাইনের রুট। চূড়ান্ত বরিশালে হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় আইকনিক রেলস্টেশন

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১২:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • / 253

ইলিশ মাছের আদলে দেশের দ্বিতীয় দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেল স্টেশন নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল-পায়রা বন্দর হয়ে সাগর কন্যা কুয়াকাটা পর্যন্ত ২১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই রেল লাইন। এজন্য চীন সরকারের কাছে ঋণ সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি মাসের ৮ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে চীন সফরের সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ওই সফরে এ প্রকল্পটির বিষয়ে সহায়তা প্রস্তাব তুলে ধরা হবে বলে জানা যায়। প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা।

ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের নকশা ও রুট চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে থাকছে ১২টি রেলস্টেশন। বরিশাল ও পটুয়াখালীর মধ্যে ট্রেন থামবে ঝালকাঠির নলছিটিতে। ইলিশ মাছের আদলে দৃষ্টিনন্দন নকশায় এখানকার রেলওয়ে স্টেশনটি হবে নলছিটি উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামে। ইতোমধ্যে স্টেশনের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এই রেলস্টেশন থেকেই ঝালকাঠির মানুষ রাজধানী ঢাকায় ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর ও সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় যাতায়াত করতে পারবেন।

এ রেললাইন নির্মাণের জন্য ম্যাপ চূড়ান্ত করে তিনটি সার্ভে কোম্পানি জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে। ম্যাপ অনুযায়ী মাটি পরীক্ষা, জমি, ঘর-বাড়ি, স্থাপনা ও গাছ-পালার জরিপ কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

২০২৮ সালে এ রুটে ট্রেন চালু করার বিষয়ে আশাবাদী রেলপথ বিভাগ। এর আগে আগামী ২ বছরের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল সেকশনের ৯৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ সম্পন্ন করে ট্রেন চালুর সম্ভাবনার কথাও জানান একাধিক কারিগরি বিশেষজ্ঞ।

এ রেলপথ নির্মাণে ৫ হাজার ৬৩৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। ৩২৮ ফুট প্রশস্ত জায়গার মাঝখান দিয়ে নির্মিত হবে রেলপথটি। প্রথমপর্যায়ে রেলপথটি হবে সিঙ্গেল লেনের। ৩২৮ ফুট বা ১০০ মিটার প্রশস্ত জায়গা রাখা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এখানে প্রয়োজনে ডাবল লেনের রেলপথ তৈরি করা যাবে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে ভ‚মি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

ভাঙ্গা থেকে পায়রা পর্যন্ত রেলপথটি বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরগুনাসহ ৬টি জেলার মধ্যদিয়ে যাবে। এখানে থাকবে ১২টি প্রধান রেলস্টেশন। এর মধ্যে শুধু বরিশাল নগরীসহ জেলায় থাকবে তিনটি। এর মধ্যে একটি বরিশাল এয়ারপোর্ট এলাকা, একটি বরিশাল নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকা এবং অন্যটি বাকেরগঞ্জ উপজেলায় হবে।

এ ছাড়া বরিশাল জেলার মধ্যবর্তী স্থান ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় আরও একটি স্টেশন থাকবে। যদিও ১২টি প্রধান স্টেশনের বাইরে আরও কিছু সাব-স্টেশনও থাকবে। তবে সাব-স্টেশনের সংখ্যা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তা ছাড়া পরবর্তীতে প্রধান স্টেশনের সংখ্যা আরও সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

ঢাকা-কুয়াকাটা রেললাইনের রুট। চূড়ান্ত বরিশালে হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় আইকনিক রেলস্টেশন

সময় ১২:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

ইলিশ মাছের আদলে দেশের দ্বিতীয় দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেল স্টেশন নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল-পায়রা বন্দর হয়ে সাগর কন্যা কুয়াকাটা পর্যন্ত ২১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই রেল লাইন। এজন্য চীন সরকারের কাছে ঋণ সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি মাসের ৮ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে চীন সফরের সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ওই সফরে এ প্রকল্পটির বিষয়ে সহায়তা প্রস্তাব তুলে ধরা হবে বলে জানা যায়। প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা।

ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের নকশা ও রুট চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে থাকছে ১২টি রেলস্টেশন। বরিশাল ও পটুয়াখালীর মধ্যে ট্রেন থামবে ঝালকাঠির নলছিটিতে। ইলিশ মাছের আদলে দৃষ্টিনন্দন নকশায় এখানকার রেলওয়ে স্টেশনটি হবে নলছিটি উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামে। ইতোমধ্যে স্টেশনের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এই রেলস্টেশন থেকেই ঝালকাঠির মানুষ রাজধানী ঢাকায় ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর ও সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় যাতায়াত করতে পারবেন।

এ রেললাইন নির্মাণের জন্য ম্যাপ চূড়ান্ত করে তিনটি সার্ভে কোম্পানি জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে। ম্যাপ অনুযায়ী মাটি পরীক্ষা, জমি, ঘর-বাড়ি, স্থাপনা ও গাছ-পালার জরিপ কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

২০২৮ সালে এ রুটে ট্রেন চালু করার বিষয়ে আশাবাদী রেলপথ বিভাগ। এর আগে আগামী ২ বছরের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল সেকশনের ৯৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ সম্পন্ন করে ট্রেন চালুর সম্ভাবনার কথাও জানান একাধিক কারিগরি বিশেষজ্ঞ।

এ রেলপথ নির্মাণে ৫ হাজার ৬৩৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। ৩২৮ ফুট প্রশস্ত জায়গার মাঝখান দিয়ে নির্মিত হবে রেলপথটি। প্রথমপর্যায়ে রেলপথটি হবে সিঙ্গেল লেনের। ৩২৮ ফুট বা ১০০ মিটার প্রশস্ত জায়গা রাখা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এখানে প্রয়োজনে ডাবল লেনের রেলপথ তৈরি করা যাবে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে ভ‚মি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

ভাঙ্গা থেকে পায়রা পর্যন্ত রেলপথটি বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরগুনাসহ ৬টি জেলার মধ্যদিয়ে যাবে। এখানে থাকবে ১২টি প্রধান রেলস্টেশন। এর মধ্যে শুধু বরিশাল নগরীসহ জেলায় থাকবে তিনটি। এর মধ্যে একটি বরিশাল এয়ারপোর্ট এলাকা, একটি বরিশাল নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকা এবং অন্যটি বাকেরগঞ্জ উপজেলায় হবে।

এ ছাড়া বরিশাল জেলার মধ্যবর্তী স্থান ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় আরও একটি স্টেশন থাকবে। যদিও ১২টি প্রধান স্টেশনের বাইরে আরও কিছু সাব-স্টেশনও থাকবে। তবে সাব-স্টেশনের সংখ্যা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তা ছাড়া পরবর্তীতে প্রধান স্টেশনের সংখ্যা আরও সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।