ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যুক্তরাজ্যের সতর্কতা

ঢাকায় সহিংস অপরাধ ও ধর্ষণের ঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১১:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 61

কক্সবাজারে ব্রিটিশ পর্যটক

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণবিষয়ক পরামর্শে এই সতর্কতা জানিয়েছে।

ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, নির্বিচার সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে। জনাকীর্ণ এলাকা, ধর্মীয় স্থাপনা ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন জায়গায় এই হামলা হতে পারে। কিছু গোষ্ঠী এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করেছে, যাদের ইসলাম পরিপন্থি জীবনাচরণ ও মতামত রয়েছে বলে তারা মনে করে।

হাইকমিশন আরও বলেছে, মাঝেমধ্যে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা হয়েছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করা হয়েছে। প্রধান শহরগুলোতে এসব হামলায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত এসব হামলা নস্যাতে কাজ করে যাচ্ছে। স্বল্প সময়ের নোটিশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে।

ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক করে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, চারপাশ সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে পুলিশের স্থাপনাগুলোর আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বড় ধরনের সমাবেশ এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি সংবলিত অন্যান্য জায়গা এড়িয়ে চলুন।

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়, যাতে অনেক মৃত্যু ও বহু আহত হয়েছে।

পরিস্থিতি এখনো অস্থির রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশন বলেছে, রাজনৈতিক মিছিল ও সমাবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এগুলো দ্রুত সহিংস হয়ে উঠতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। দেশজুড়ে শহর ও নগরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের সময় সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ঘটনা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার একটি প্রভাব পুলিশের কর্মকাণ্ডের ওপর পড়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, দেশজুড়ে কিছু থানায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলোর বেশিরভাগ আবার সচল হয়েছে। তবে সব পুলিশ সদস্য কাজে ফেরেননি।

ঢাকা ও অন্যান্য শহরে অপরাধী চক্রের তৎপরতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হাইকমিশন। ডাকাতি, সহিংস অপরাধ ও ধর্ষণের ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেছে তারা।

উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিরাপত্তার কারণে আপাতত আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ওই মিশন থেকে বাংলাদেশের ভিসা সেবা বন্ধ থাকবে।

গতকাল সোমবার দুপুরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের সমর্থকরা এই হামলা চালান বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্যের সতর্কতা

ঢাকায় সহিংস অপরাধ ও ধর্ষণের ঝুঁকি

সময় ১১:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণবিষয়ক পরামর্শে এই সতর্কতা জানিয়েছে।

ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, নির্বিচার সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে। জনাকীর্ণ এলাকা, ধর্মীয় স্থাপনা ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন জায়গায় এই হামলা হতে পারে। কিছু গোষ্ঠী এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করেছে, যাদের ইসলাম পরিপন্থি জীবনাচরণ ও মতামত রয়েছে বলে তারা মনে করে।

হাইকমিশন আরও বলেছে, মাঝেমধ্যে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা হয়েছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করা হয়েছে। প্রধান শহরগুলোতে এসব হামলায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত এসব হামলা নস্যাতে কাজ করে যাচ্ছে। স্বল্প সময়ের নোটিশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে।

ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক করে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, চারপাশ সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে পুলিশের স্থাপনাগুলোর আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বড় ধরনের সমাবেশ এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি সংবলিত অন্যান্য জায়গা এড়িয়ে চলুন।

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়, যাতে অনেক মৃত্যু ও বহু আহত হয়েছে।

পরিস্থিতি এখনো অস্থির রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশন বলেছে, রাজনৈতিক মিছিল ও সমাবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এগুলো দ্রুত সহিংস হয়ে উঠতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। দেশজুড়ে শহর ও নগরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের সময় সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ঘটনা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার একটি প্রভাব পুলিশের কর্মকাণ্ডের ওপর পড়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, দেশজুড়ে কিছু থানায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলোর বেশিরভাগ আবার সচল হয়েছে। তবে সব পুলিশ সদস্য কাজে ফেরেননি।

ঢাকা ও অন্যান্য শহরে অপরাধী চক্রের তৎপরতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হাইকমিশন। ডাকাতি, সহিংস অপরাধ ও ধর্ষণের ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেছে তারা।

উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিরাপত্তার কারণে আপাতত আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ওই মিশন থেকে বাংলাদেশের ভিসা সেবা বন্ধ থাকবে।

গতকাল সোমবার দুপুরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের সমর্থকরা এই হামলা চালান বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।