০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিবি হেফাজতে পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০৮:৫২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 58

বাংলাদেশ পুলিশ লগো

বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী । শুক্রবার রাতে বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নেয়। পরে শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।

একই দিনে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

এছাড়া, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে।

আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম একসময় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অতীতে খুন, গুম ও অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল।

পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ২৭তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে কঠোর ভূমিকা রাখেন, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

অন্যদিকে, এসপি আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে কর্মরত থাকাকালীন নির্বাচন ও ছাত্র আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এর আগে সিটি টিসিতে দায়িত্বে থাকাকালে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

এসপি আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। তিনি নির্বাচন ও ছাত্র আন্দোলনের সময় কঠোর দমননীতি গ্রহণের কারণে সমালোচিত হন।

সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর তারা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত থাকলেও শুক্রবার রাতে তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নজরুলসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

ডিবি হেফাজতে পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

সময় ০৮:৫২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী । শুক্রবার রাতে বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নেয়। পরে শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।

একই দিনে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

এছাড়া, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে।

আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম একসময় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অতীতে খুন, গুম ও অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল।

পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ২৭তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে কঠোর ভূমিকা রাখেন, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

অন্যদিকে, এসপি আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে কর্মরত থাকাকালীন নির্বাচন ও ছাত্র আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এর আগে সিটি টিসিতে দায়িত্বে থাকাকালে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

এসপি আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। তিনি নির্বাচন ও ছাত্র আন্দোলনের সময় কঠোর দমননীতি গ্রহণের কারণে সমালোচিত হন।

সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর তারা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত থাকলেও শুক্রবার রাতে তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নজরুলসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।