ডিপিডিসির এক কর্তাব্যক্তির সম্পদের খোঁজে দুদক | Bangla Affairs
১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিপিডিসির এক কর্তাব্যক্তির সম্পদের খোঁজে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১২:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 79

ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক কিউএম শফিকুল ইসলাম

ঢাকায় বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি- ডিপিডিসি’র নির্বাহী পরিচালকের (অপারেশন) বিরুদ্ধে। কিউএম শফিকুল ইসলাম নামে ওই কর্মকর্তা ২০২০ সালে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সেই প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে এসব অর্থ-সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ।

হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যাক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ মার্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় বিষয়টি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কিউএম শফিকুল ইসলামের ঢাকায় এসব অর্থ-সম্পদ ছাড়াও নিজ গ্রামের বাড়ি নওগাঁতে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি। এছাড়া স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের নামেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তার বেনামে সম্পদ ও ব্যবসা থাকার কথা বলা হচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু’র নির্দেশনায় কিউএম শফিকুল ইসলাম ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।

বর্তমান কর্মস্থল ডিপিডিসিতেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, সংস্থাটির কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সাথে মিলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন এই কর্মকর্তা।

ডিপিডিসি’র ডিএসএস ও সিএসএস ঠিকাদার নিয়োগ, গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নীতিমালা ভঙ্গ করে সংযোগ প্রদান, বদলি বাণিজ্য, টেন্ডার বানিজ্যসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এর আগে পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশ- পিজিসিবিতে দায়িত্ব পালনকালে এই কর্মকর্তা; যখন যে প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করেছেন সেসব প্রকল্পে ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে দফায় দফায় প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়েছেন।

দুদকে করা অপর এক অভিযোগে বলা হয়, বিশাল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সুপারিশে একজন সিনিয়র সচিব তাকে ডিপিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে কিউএম শফিকুল ইসলাম বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, বেতন বাইরে তার কোন আয় নেই। বেতনের টাকায় কিছু সঞ্চয়পত্র কেনা ছাড়া তার তেমন কিছু নেই। নঁওগায় একটি ফ্ল্যাট থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। এছাড়া তার স্ত্রী ও শ্যালিকার নামে বগুড়ায় কিছু জমি ছিলো; যেটি গত জানুয়ারিতে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান। এর বাইরে তার আর কোন সম্পদ নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

ডিপিডিসির এক কর্তাব্যক্তির সম্পদের খোঁজে দুদক

সময় ১২:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকায় বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি- ডিপিডিসি’র নির্বাহী পরিচালকের (অপারেশন) বিরুদ্ধে। কিউএম শফিকুল ইসলাম নামে ওই কর্মকর্তা ২০২০ সালে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সেই প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে এসব অর্থ-সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ।

হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যাক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ মার্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় বিষয়টি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কিউএম শফিকুল ইসলামের ঢাকায় এসব অর্থ-সম্পদ ছাড়াও নিজ গ্রামের বাড়ি নওগাঁতে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি। এছাড়া স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের নামেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তার বেনামে সম্পদ ও ব্যবসা থাকার কথা বলা হচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু’র নির্দেশনায় কিউএম শফিকুল ইসলাম ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।

বর্তমান কর্মস্থল ডিপিডিসিতেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, সংস্থাটির কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সাথে মিলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন এই কর্মকর্তা।

ডিপিডিসি’র ডিএসএস ও সিএসএস ঠিকাদার নিয়োগ, গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নীতিমালা ভঙ্গ করে সংযোগ প্রদান, বদলি বাণিজ্য, টেন্ডার বানিজ্যসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এর আগে পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশ- পিজিসিবিতে দায়িত্ব পালনকালে এই কর্মকর্তা; যখন যে প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করেছেন সেসব প্রকল্পে ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে দফায় দফায় প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়েছেন।

দুদকে করা অপর এক অভিযোগে বলা হয়, বিশাল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সুপারিশে একজন সিনিয়র সচিব তাকে ডিপিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে কিউএম শফিকুল ইসলাম বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, বেতন বাইরে তার কোন আয় নেই। বেতনের টাকায় কিছু সঞ্চয়পত্র কেনা ছাড়া তার তেমন কিছু নেই। নঁওগায় একটি ফ্ল্যাট থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। এছাড়া তার স্ত্রী ও শ্যালিকার নামে বগুড়ায় কিছু জমি ছিলো; যেটি গত জানুয়ারিতে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান। এর বাইরে তার আর কোন সম্পদ নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।