ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাক্তার সাবরিনা এবার নেত্রী হতে চান!

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১০:৩৭:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 8

ডাক্তার সাবরিনা

ডাক্তার সাবরিনা, তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। জেলখানা থেকে বের হওয়ার পর সরব আছেন নানা অঙ্গনে। এবার ইচ্ছে পোষণ করেছেন রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে  নেত্রী হতে চাওয়ার। নিজেই এ কথা জানিয়েছেন সাবরিনা।

বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নাম ডাক্তার সাবরিনা। পেশায় চিকিৎসক হলেও আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের জন্য বেশ আলোচিত তিনি। বিভিন্ন সময় তার নানা ইন্টারভিউ বেশ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, শোবিজের নানা অনুষ্ঠানেও ইদানীং তাকে দেখা যায়।

সম্প্রতি নাটকেও অভিনয় করেছেন ডা. সাবরিনা। সম্প্রতি ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘অভিমানে তুমি’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এবার নেত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি।

ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে অভিনেত্রী সাবরিনা
ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে অভিনেত্রী সাবরিনা

সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো অভিনেত্রী বা লেখিকা হিসেবে ভালো বা যেমনই হই না কেন, এর মানে এই না যে নেত্রী হিসেবেও আমি ভালো হবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেখা যাক! যদি জনগণ চায় আমার কাজের মাধ্যমে আমি এগিয়ে আসি, তাহলে আমি অবশ্যই নেত্রী হবো।’

করোনা মহামারির সময় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার অভিযোগে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণার তালিকায় ছিল সাবরিনা শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর নাম। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছিল।

আসল নাম ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলে চিকিৎসক হিসেবে তার নিবন্ধন আইডি ১১১৬৭৯। তিনি কখনো ব্যবহার করতেন ডা. সাবরিনা এ চৌধুরী, কখনো আবার সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বা সাবরিনা মিষ্টি চৌধুরী নাম। রাজধানীর শেরে বাংলানগরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ও কার্ডিয়াক সার্জন তিনি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি (জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা) হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীর চতুর্থ স্ত্রী তিনি। সাবরিনা সরকারি কর্মচারী হয়েও জেকেজি হেলথ কেয়ার ও ওভাল গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। সাবরিনা যেমন আরিফের চতুর্থ স্ত্রী তেমনি আরিফও সাবরিনার দ্বিতীয় স্বামী। সাবরিনার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। তার বাবা সাবেক সচিব সৈয়দ মোশাররফ হোসেন। তিনি ঢাকার শ্যামলীর পিসি কালচার রোডের নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তার দুই মেয়ের মধ্যে ডা. সাবরিনা বড়। সাবরিনা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে এসএসসি ও পরে এইচএসসি পাস করেন। এরপর এমবিবিএস পাস করেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে। সাবরিনার প্রথম স্বামীর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তিনি টেলিফোন সেবা সংক্রান্ত একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। সাবরিনা ২৭তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারের চাকরি পাওয়ার পর তার প্রথম পোস্টিং হয় দিনাজপুরে। পরে বদলি হয়ে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেখান থেকে যোগ দেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে।

সাবরিনা
সাবরিনা

ডা. সাবরিনা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনার পরিচিত মুখ। বিভিন্ন টকশোতেও স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনায় নিয়মিত অংশ নিতেন তিনি। দিতেন সুস্থ থাকা ও করোনামুক্ত থাকা এবং প্রতিরোধের নানা টিপস। ২০২০ সালে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠানের করোনা সনদ জালিয়াতির তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জেলও খাটতে হয়েছে।

সিনেমার নায়িকা হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল ডা. সাবরিনার। ২০১৬ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সাবরিনা বলেন, ‘নায়িকা হতে চেয়েছিলাম একসময়। কিন্তু বাবার কড়া শাসনের কারণে আর সেটি হয়ে ওঠেনি। নায়িকা হওয়ার জন্য প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। লুকিয়ে অভিনয়ের রিহার্সেলে যেতাম। তবে যেদিন ফাইনাল শ্যুটিং হবে সেদিন বাবা বুঝে গেছেন সবকিছু। আমার আর অভিনয় করা হলো না!’

তবে এবার তিনি নায়িকা হয়েছেন, কিন্তু এখন ডাক্তার সাবরিনা হতে চান নেত্রী।

 

শেয়ার করুন

ডাক্তার সাবরিনা এবার নেত্রী হতে চান!

সময় ১০:৩৭:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

ডাক্তার সাবরিনা, তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। জেলখানা থেকে বের হওয়ার পর সরব আছেন নানা অঙ্গনে। এবার ইচ্ছে পোষণ করেছেন রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে  নেত্রী হতে চাওয়ার। নিজেই এ কথা জানিয়েছেন সাবরিনা।

বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নাম ডাক্তার সাবরিনা। পেশায় চিকিৎসক হলেও আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের জন্য বেশ আলোচিত তিনি। বিভিন্ন সময় তার নানা ইন্টারভিউ বেশ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, শোবিজের নানা অনুষ্ঠানেও ইদানীং তাকে দেখা যায়।

সম্প্রতি নাটকেও অভিনয় করেছেন ডা. সাবরিনা। সম্প্রতি ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘অভিমানে তুমি’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এবার নেত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি।

ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে অভিনেত্রী সাবরিনা
ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে অভিনেত্রী সাবরিনা

সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো অভিনেত্রী বা লেখিকা হিসেবে ভালো বা যেমনই হই না কেন, এর মানে এই না যে নেত্রী হিসেবেও আমি ভালো হবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেখা যাক! যদি জনগণ চায় আমার কাজের মাধ্যমে আমি এগিয়ে আসি, তাহলে আমি অবশ্যই নেত্রী হবো।’

করোনা মহামারির সময় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার অভিযোগে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণার তালিকায় ছিল সাবরিনা শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর নাম। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছিল।

আসল নাম ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলে চিকিৎসক হিসেবে তার নিবন্ধন আইডি ১১১৬৭৯। তিনি কখনো ব্যবহার করতেন ডা. সাবরিনা এ চৌধুরী, কখনো আবার সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বা সাবরিনা মিষ্টি চৌধুরী নাম। রাজধানীর শেরে বাংলানগরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ও কার্ডিয়াক সার্জন তিনি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি (জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা) হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীর চতুর্থ স্ত্রী তিনি। সাবরিনা সরকারি কর্মচারী হয়েও জেকেজি হেলথ কেয়ার ও ওভাল গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। সাবরিনা যেমন আরিফের চতুর্থ স্ত্রী তেমনি আরিফও সাবরিনার দ্বিতীয় স্বামী। সাবরিনার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। তার বাবা সাবেক সচিব সৈয়দ মোশাররফ হোসেন। তিনি ঢাকার শ্যামলীর পিসি কালচার রোডের নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তার দুই মেয়ের মধ্যে ডা. সাবরিনা বড়। সাবরিনা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে এসএসসি ও পরে এইচএসসি পাস করেন। এরপর এমবিবিএস পাস করেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে। সাবরিনার প্রথম স্বামীর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তিনি টেলিফোন সেবা সংক্রান্ত একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। সাবরিনা ২৭তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারের চাকরি পাওয়ার পর তার প্রথম পোস্টিং হয় দিনাজপুরে। পরে বদলি হয়ে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেখান থেকে যোগ দেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে।

সাবরিনা
সাবরিনা

ডা. সাবরিনা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনার পরিচিত মুখ। বিভিন্ন টকশোতেও স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনায় নিয়মিত অংশ নিতেন তিনি। দিতেন সুস্থ থাকা ও করোনামুক্ত থাকা এবং প্রতিরোধের নানা টিপস। ২০২০ সালে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠানের করোনা সনদ জালিয়াতির তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জেলও খাটতে হয়েছে।

সিনেমার নায়িকা হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল ডা. সাবরিনার। ২০১৬ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সাবরিনা বলেন, ‘নায়িকা হতে চেয়েছিলাম একসময়। কিন্তু বাবার কড়া শাসনের কারণে আর সেটি হয়ে ওঠেনি। নায়িকা হওয়ার জন্য প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। লুকিয়ে অভিনয়ের রিহার্সেলে যেতাম। তবে যেদিন ফাইনাল শ্যুটিং হবে সেদিন বাবা বুঝে গেছেন সবকিছু। আমার আর অভিনয় করা হলো না!’

তবে এবার তিনি নায়িকা হয়েছেন, কিন্তু এখন ডাক্তার সাবরিনা হতে চান নেত্রী।