ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফ স্থল বন্দর সচল করতে সরকার কাজ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া
  • সময় ০১:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 17

টেকনাফ স্থলবন্দর

মিয়ানমার-বাংলাদেশ উভয় দেশে পণ্যের চাহিদা থাকায় ফের পুরোদমে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় সচল হবে। সরকার সে বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রভাবে অচল কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দর। তবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, মিয়ানমার-বাংলাদেশ উভয় দেশে পণ্যের চাহিদা থাকায় ফের পুরোদমে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় সচল হবে। সরকার সে বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি টেকনাফের সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি স্থলবন্দরের সাথে শ্রম আইন অধিকারের বিষয়ে শ্রমিকদের সাথে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মো. সবুর হোসেন, যুগ্ম সচিব মাসুকুর রহমান, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন, বন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন, ম্যানেজার মো. আনোয়ার হোসেন, আমদানি কারক এনামুল হাসান ও শ্রমিক নেতা আলী আজগর মাঝি প্রমুখ।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মো. সবুর হোসেন টেকনাফ স্থলবন্দরে
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মো. সবুর হোসেন টেকনাফ স্থলবন্দরে

শ্রমিকদের উদ্দেশে সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে পরিবহণ খাত অন্যতম। এখন পথে পথে চাঁদাবাজি।

স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সেগুলো বন্ধের সময় এসেছে। তাই সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।কেননা সরকার পতনের আগে এক সরকার ছিল। এখন নতুন এক বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। আমরা চাই সকল বৈষম্য দূর হোক। এটার কারণে আমি এখানে এসেছি। এই স্থলবন্দরে যাতে শ্রম আইন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, শ্রমিকরা যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে এখানে (স্থলবন্দরে) কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় হতাহতের শিকার হন শ্রমিকরা। আমরা তাদের (শ্রমিকদের) সহায়তা করতে চাই। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেগুলো ফলো করতে হবে। তবে বন্দরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রথম অগ্রাধিকার দিতে হবে। এদের সবার একটা ডাটাবেজ করা হবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর
টেকনাফ স্থলবন্দর

তিনি বলেন, বাণিজ্য বন্ধ রাখা উচিত না। প্রথম দরকার ওপারের শান্তি, সেটি হলে সীমান্ত আগের রূপে ফিরবে। মিয়ানমারে আমাদের পার্শ্ববর্তী বিকল্প বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

শ্রমিক নেতা আলী আজগর মাঝি বলেন, স্থলবন্দরে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা সহ দুঘর্টনার শিকার শ্রমিকরা সহায়তায় না পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি শ্রম অধিকার আইন যেন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক এনামুল হাসান বলেন, রাখাইন সংঘাতে মংডু টাউনশিপে আরাকান আর্মির দখলের পর টেকনাফ বন্দরে পণ্যবাহী ট্রলার আসা বন্ধ রয়েছে। মূলত সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌরুটে তাদের প্রতিবন্ধকতার কারণে কোন ট্রলার আসতে পারছে না। যার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে

শেয়ার করুন

টেকনাফ স্থল বন্দর সচল করতে সরকার কাজ করছে

সময় ০১:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

মিয়ানমার-বাংলাদেশ উভয় দেশে পণ্যের চাহিদা থাকায় ফের পুরোদমে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় সচল হবে। সরকার সে বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রভাবে অচল কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দর। তবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, মিয়ানমার-বাংলাদেশ উভয় দেশে পণ্যের চাহিদা থাকায় ফের পুরোদমে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় সচল হবে। সরকার সে বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি টেকনাফের সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি স্থলবন্দরের সাথে শ্রম আইন অধিকারের বিষয়ে শ্রমিকদের সাথে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মো. সবুর হোসেন, যুগ্ম সচিব মাসুকুর রহমান, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন, বন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন, ম্যানেজার মো. আনোয়ার হোসেন, আমদানি কারক এনামুল হাসান ও শ্রমিক নেতা আলী আজগর মাঝি প্রমুখ।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মো. সবুর হোসেন টেকনাফ স্থলবন্দরে
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মো. সবুর হোসেন টেকনাফ স্থলবন্দরে

শ্রমিকদের উদ্দেশে সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে পরিবহণ খাত অন্যতম। এখন পথে পথে চাঁদাবাজি।

স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সেগুলো বন্ধের সময় এসেছে। তাই সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।কেননা সরকার পতনের আগে এক সরকার ছিল। এখন নতুন এক বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। আমরা চাই সকল বৈষম্য দূর হোক। এটার কারণে আমি এখানে এসেছি। এই স্থলবন্দরে যাতে শ্রম আইন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, শ্রমিকরা যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে এখানে (স্থলবন্দরে) কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় হতাহতের শিকার হন শ্রমিকরা। আমরা তাদের (শ্রমিকদের) সহায়তা করতে চাই। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেগুলো ফলো করতে হবে। তবে বন্দরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রথম অগ্রাধিকার দিতে হবে। এদের সবার একটা ডাটাবেজ করা হবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর
টেকনাফ স্থলবন্দর

তিনি বলেন, বাণিজ্য বন্ধ রাখা উচিত না। প্রথম দরকার ওপারের শান্তি, সেটি হলে সীমান্ত আগের রূপে ফিরবে। মিয়ানমারে আমাদের পার্শ্ববর্তী বিকল্প বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

শ্রমিক নেতা আলী আজগর মাঝি বলেন, স্থলবন্দরে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা সহ দুঘর্টনার শিকার শ্রমিকরা সহায়তায় না পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি শ্রম অধিকার আইন যেন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক এনামুল হাসান বলেন, রাখাইন সংঘাতে মংডু টাউনশিপে আরাকান আর্মির দখলের পর টেকনাফ বন্দরে পণ্যবাহী ট্রলার আসা বন্ধ রয়েছে। মূলত সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌরুটে তাদের প্রতিবন্ধকতার কারণে কোন ট্রলার আসতে পারছে না। যার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে