ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিউলিপের পাশে আছেন স্টারমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১২:১১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 21

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। তবে দুঃখের সঙ্গে টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি একটি চিঠিও লিখেছেন টিউলিপকে। যেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন ‘আপনার জন্য দরজা খোলা রইল।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

স্যার কিয়ার স্টারমার লিখেছেন, ‘দুঃখের সঙ্গে আমি আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছি। আমি স্পষ্ট করছি, একজন ইনডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস হিসেবে লরি ম্যাগনাস আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আপনার দিক থেকে মিনিস্ট্রিয়াল কোডে কোনো লঙ্ঘন পাননি এবং কোনো আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাননি।’

টিউলিপ সিদ্দিক
টিউলিপ সিদ্দিক

দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য স্যার লরি ম্যাগনাসের প্রতি আহ্বান জানানোয় টিউলিপকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিয়ার স্টারমার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যকে বদলে দেওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি, সেখান থেকে আমাদের মনোযোগ ব্যাহত করার চলমান ঘটনাপ্রবাহের অবসানের জন্য আমি সাধুবাদ জানাই। আপনি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে আপনার জন্য দরজা খোলা রইল।’

যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক সিটি মিনিস্টার ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। মন্ত্রী হিসেবে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেই শেষে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহার নিয়েছেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় অর্থনীতিবিষয়ক সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান টিউলিপ।

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। তিনি ব্রিটিশ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহার নিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে আহ্বান জানান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনক।

মায়ের সঙ্গে টিউলিপ
মায়ের সঙ্গে টিউলিপ

এর একদিন পরই টিউলিপকে পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানায় দুর্নীতিবিরোধী জোট ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন। এই জোটে রয়েছে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও অক্সফামের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন।

এক বিবৃতিতে জোটটি জানায়, টিউলিপ ব্রিটিশ সরকারে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তাই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত টিউলিপের।

শেয়ার করুন

টিউলিপের পাশে আছেন স্টারমার

সময় ১২:১১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। তবে দুঃখের সঙ্গে টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি একটি চিঠিও লিখেছেন টিউলিপকে। যেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন ‘আপনার জন্য দরজা খোলা রইল।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

স্যার কিয়ার স্টারমার লিখেছেন, ‘দুঃখের সঙ্গে আমি আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছি। আমি স্পষ্ট করছি, একজন ইনডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস হিসেবে লরি ম্যাগনাস আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আপনার দিক থেকে মিনিস্ট্রিয়াল কোডে কোনো লঙ্ঘন পাননি এবং কোনো আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাননি।’

টিউলিপ সিদ্দিক
টিউলিপ সিদ্দিক

দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য স্যার লরি ম্যাগনাসের প্রতি আহ্বান জানানোয় টিউলিপকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিয়ার স্টারমার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যকে বদলে দেওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি, সেখান থেকে আমাদের মনোযোগ ব্যাহত করার চলমান ঘটনাপ্রবাহের অবসানের জন্য আমি সাধুবাদ জানাই। আপনি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে আপনার জন্য দরজা খোলা রইল।’

যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক সিটি মিনিস্টার ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। মন্ত্রী হিসেবে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেই শেষে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহার নিয়েছেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় অর্থনীতিবিষয়ক সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান টিউলিপ।

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। তিনি ব্রিটিশ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহার নিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে আহ্বান জানান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনক।

মায়ের সঙ্গে টিউলিপ
মায়ের সঙ্গে টিউলিপ

এর একদিন পরই টিউলিপকে পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানায় দুর্নীতিবিরোধী জোট ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন। এই জোটে রয়েছে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও অক্সফামের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন।

এক বিবৃতিতে জোটটি জানায়, টিউলিপ ব্রিটিশ সরকারে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তাই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত টিউলিপের।