০৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কিউইদের হারাতে

টাইগারদের ডেসপারেট ক্রিকেট নাকি অন্যকিছু?

ক্রীড়া ডেস্ক
  • সময় ০১:২৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 47

মুস্তাফিজ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টের নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। সে ধাক্কা কাটিয়ে আজ সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তাই ডেসপারেট এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলবে আজ টাইগার বাহিনী। নাকি অন্য কিছু ভাবছে কোচ সিমন্স?

কিউইদের বিপক্ষে আজ হারলে টুর্নামেন্টে বিদায় ঘণ্টা বাজবে শান্তদের। তখন গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা হবে শুধুই নিয়মরক্ষার।

অন্যদিকে এ দুটি (নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে) ম্যাচ জিতলে, সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা প্রবল হবে সিমন্সের শিষ্যদের। সেক্ষেত্রে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে কোহলি-রোহিতরা জিতলে কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই ভারতের সঙ্গে শেষ চারে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

আর নিউজিল্যান্ড জিতলে আসবে রানরেটের হিসাব। সবদিক বিবেচনায় আজকের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। এমন ম্যাচে মাঠে নামার আগে দশ-দশের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ফিল সিমন্স!

তা দশ-দশটা কী জিনিস? ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটার দিকে তাকালে দেখা যাবে, ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই প্রথম ১০ ওভারেই পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ রান তুলতেই যখন ৫ উইকেট হারায় সিমন্সের দখল, তখন সবে ৯ম ওভারের খেলা চলে। ধ্বংসস্তূপ থেকে তাওহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি আর জাকের আলী অনিকের ৬৮ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২২৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

ভারতের ব্যাটিং অর্ডার আর সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় এটা মোটেও বড় লক্ষ্য নয়। এরপরও দুবাইয়ের উইকেটে তাসকিন-মোস্তাফিজদের কার্যকর বোলিং ভারতের কাজটা কঠিন করতে পারত। কিন্তু শুরুতে লাগাম টানতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত। সে উইকেটটাও গিয়েছে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে। সে কারণেই আজ ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই প্রথম ১০ ওভারে বাড়তি জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিমন্স।

গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা প্রথম ১০ ওভারের ব্যাটিংয়ে এবং প্রথম ১০ ওভারের বোলিংয়ে ম্যাচটা হেরেছি। এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে, কালকে (আজ) যেন জিততে পারি। এরপর দেখা যাক কী হয়।’

ভারতের বিপক্ষে টপ অর্ডার ধসে পড়লেও সেটা নিয়ে চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন সিমন্স, ‘ফর্ম নিয়ে চিন্তিত নই। আমাদের আসলে শুরুর দিকে একসাথে ভালো ব্যাটিং করতে হবে প্রথম ১০ ওভারে। যেমনটা করেছি তার চেয়ে ভালো করতে হবে। মিডল এবং লোয়ার অর্ডার ভালো করেছে। ফলে টপ অর্ডারকে প্রথম ১০-১৫ ওভারে ভালো করতে হবে।’

শুধু শুরুর দিকে মনোযোগ নয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের কথাও ভাবছে বাংলাদেশ। আপাতত রানরেট নিয়েও বাড়তি চাপ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিমন্স, ‘হয়তো রান রেট কাউন্ট হবে। তবে প্রাধান্য দিচ্ছি ম্যাচ জেতায়। যদি ম্যাচ জিততে পারার মতো জায়গায় থাকি তখন রান রেট নিয়ে চিন্তা করা যাবে। যদি ২ ম্যাচ জিতি তাহলে হয়তো সেখানে চলে যেতে পারব। তবে সবার আগে ম্যাচ জিততে হবে।’

শেয়ার করুন

কিউইদের হারাতে

টাইগারদের ডেসপারেট ক্রিকেট নাকি অন্যকিছু?

সময় ০১:২৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টের নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। সে ধাক্কা কাটিয়ে আজ সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তাই ডেসপারেট এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলবে আজ টাইগার বাহিনী। নাকি অন্য কিছু ভাবছে কোচ সিমন্স?

কিউইদের বিপক্ষে আজ হারলে টুর্নামেন্টে বিদায় ঘণ্টা বাজবে শান্তদের। তখন গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা হবে শুধুই নিয়মরক্ষার।

অন্যদিকে এ দুটি (নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে) ম্যাচ জিতলে, সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা প্রবল হবে সিমন্সের শিষ্যদের। সেক্ষেত্রে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে কোহলি-রোহিতরা জিতলে কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই ভারতের সঙ্গে শেষ চারে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

আর নিউজিল্যান্ড জিতলে আসবে রানরেটের হিসাব। সবদিক বিবেচনায় আজকের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। এমন ম্যাচে মাঠে নামার আগে দশ-দশের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ফিল সিমন্স!

তা দশ-দশটা কী জিনিস? ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটার দিকে তাকালে দেখা যাবে, ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই প্রথম ১০ ওভারেই পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ রান তুলতেই যখন ৫ উইকেট হারায় সিমন্সের দখল, তখন সবে ৯ম ওভারের খেলা চলে। ধ্বংসস্তূপ থেকে তাওহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি আর জাকের আলী অনিকের ৬৮ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২২৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

ভারতের ব্যাটিং অর্ডার আর সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় এটা মোটেও বড় লক্ষ্য নয়। এরপরও দুবাইয়ের উইকেটে তাসকিন-মোস্তাফিজদের কার্যকর বোলিং ভারতের কাজটা কঠিন করতে পারত। কিন্তু শুরুতে লাগাম টানতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত। সে উইকেটটাও গিয়েছে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে। সে কারণেই আজ ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই প্রথম ১০ ওভারে বাড়তি জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিমন্স।

গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা প্রথম ১০ ওভারের ব্যাটিংয়ে এবং প্রথম ১০ ওভারের বোলিংয়ে ম্যাচটা হেরেছি। এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে, কালকে (আজ) যেন জিততে পারি। এরপর দেখা যাক কী হয়।’

ভারতের বিপক্ষে টপ অর্ডার ধসে পড়লেও সেটা নিয়ে চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন সিমন্স, ‘ফর্ম নিয়ে চিন্তিত নই। আমাদের আসলে শুরুর দিকে একসাথে ভালো ব্যাটিং করতে হবে প্রথম ১০ ওভারে। যেমনটা করেছি তার চেয়ে ভালো করতে হবে। মিডল এবং লোয়ার অর্ডার ভালো করেছে। ফলে টপ অর্ডারকে প্রথম ১০-১৫ ওভারে ভালো করতে হবে।’

শুধু শুরুর দিকে মনোযোগ নয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের কথাও ভাবছে বাংলাদেশ। আপাতত রানরেট নিয়েও বাড়তি চাপ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিমন্স, ‘হয়তো রান রেট কাউন্ট হবে। তবে প্রাধান্য দিচ্ছি ম্যাচ জেতায়। যদি ম্যাচ জিততে পারার মতো জায়গায় থাকি তখন রান রেট নিয়ে চিন্তা করা যাবে। যদি ২ ম্যাচ জিতি তাহলে হয়তো সেখানে চলে যেতে পারব। তবে সবার আগে ম্যাচ জিততে হবে।’