ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন জাহাজে করে হজ যাত্রার খরচ এবং সময়।

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০১:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 242

বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই ধীরে ধীরে বাস্তবতার পথে অগ্রসর হচ্ছে। একসময়ে যে প্রথা ছিল বাংলাদেশিদের সমুদ্রপথে হজ যাত্রা, তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নানা কারণে। কিন্তু এখন আবার সেই প্রথা পুনরায় চালুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণের প্রস্তাবে সৌদি মন্ত্রী সম্মতি জানান। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন সৌদি বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আরও আলোচনা।

এর আগে গতবছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও, এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল কিন্তু শেষমেষ তা কার্যকর হয়নি। ওই সময় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড প্রস্তাব করেছিলো সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জেদ্দা বন্দর পর্যন্ত সমুদ্র যাত্রায় সময় লাগবে ১০ দিন, আর পুরো যাত্রা এবং হজের আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে একজন যাত্রীর মোট ৩৭ দিন সময় লাগবে। যাত্রার খরচ উড়োজাহাজের তুলনায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা কম হবে। এই প্রস্তাবটি এখন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে।

আশির দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীরা সমুদ্রপথে হজ করতেন। তখন যাত্রার সময় ছিল প্রায় তিন মাস। তবে নানা চ্যালেঞ্জ এবং সময়ের কারণে এই প্রথা একসময় বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবার সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে একমাত্র সুদানের মানুষই ২০১৮ সাল থেকে সমুদ্রপথে হজ করতে পারছেন।

গত ২৯ জানুয়ারি বিগত সরকারের সময় সচিবালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সমুদ্রপথে হজযাত্রার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। নৌপরিবহণ সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই প্রস্তাবে সম্মতি আসার পর সৌদি সরকারের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু হবে।

সমুদ্রপথে হজযাত্রার সম্ভাবনা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই এটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। দীর্ঘ যাত্রা, সমুদ্রের অনিশ্চয়তা এবং নৌবন্দরের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সব কিছুতে নিখুঁত পরিকল্পনার প্রয়োজন। তবে সফল হলে, এটি বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে।

শেয়ার করুন

জেনে নিন জাহাজে করে হজ যাত্রার খরচ এবং সময়।

সময় ০১:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই ধীরে ধীরে বাস্তবতার পথে অগ্রসর হচ্ছে। একসময়ে যে প্রথা ছিল বাংলাদেশিদের সমুদ্রপথে হজ যাত্রা, তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নানা কারণে। কিন্তু এখন আবার সেই প্রথা পুনরায় চালুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণের প্রস্তাবে সৌদি মন্ত্রী সম্মতি জানান। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন সৌদি বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আরও আলোচনা।

এর আগে গতবছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও, এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল কিন্তু শেষমেষ তা কার্যকর হয়নি। ওই সময় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড প্রস্তাব করেছিলো সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জেদ্দা বন্দর পর্যন্ত সমুদ্র যাত্রায় সময় লাগবে ১০ দিন, আর পুরো যাত্রা এবং হজের আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে একজন যাত্রীর মোট ৩৭ দিন সময় লাগবে। যাত্রার খরচ উড়োজাহাজের তুলনায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা কম হবে। এই প্রস্তাবটি এখন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে।

আশির দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীরা সমুদ্রপথে হজ করতেন। তখন যাত্রার সময় ছিল প্রায় তিন মাস। তবে নানা চ্যালেঞ্জ এবং সময়ের কারণে এই প্রথা একসময় বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবার সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে একমাত্র সুদানের মানুষই ২০১৮ সাল থেকে সমুদ্রপথে হজ করতে পারছেন।

গত ২৯ জানুয়ারি বিগত সরকারের সময় সচিবালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সমুদ্রপথে হজযাত্রার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। নৌপরিবহণ সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই প্রস্তাবে সম্মতি আসার পর সৌদি সরকারের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু হবে।

সমুদ্রপথে হজযাত্রার সম্ভাবনা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই এটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। দীর্ঘ যাত্রা, সমুদ্রের অনিশ্চয়তা এবং নৌবন্দরের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সব কিছুতে নিখুঁত পরিকল্পনার প্রয়োজন। তবে সফল হলে, এটি বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে।