ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তবে…

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০৪:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / 68

জামায়াতের আমির

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসেও জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, দলটি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না। তবে ঐতিহাসিকভাবেই সত্য, দলগতভাবে জামায়াতে ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।

জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তবে ভারতের সহযোগিতায় স্বাধীনতার সুফল না পাওয়ার শঙ্কা ছিল বলে দাবি করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের কাছে দলটি বেশি সুবিধা পাচ্ছে- এমন আলোচনাকেও ‘মিথ্যা প্রচার’ দাবি করেছেন।

গত দেড় দশকে দলের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি থেকে রাজনীতি নিষিদ্ধ, সব মিলিয়ে বেশ কায়দা করেই টিকে থাকতে হয়েছে জামায়াতে ইসলামীকে। গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অনেকটা মধুর সময় পার করছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় দলের অবস্থান থেকে সাম্প্রতিক রাজনীতি, সার্বিক বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেছেন ডা. শফিকুর রহমান।

বিএনপি-জামায়াত
বিএনপি-জামায়াত

একাত্তরে দলের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দেন জামায়াত আমীর।

তিনি বলেন, আমার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলাম না। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভারতের সহযোগিতায় যদি দেশ স্বাধীন হয় তাহলে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবে না। এরপরেও এটা সঠিক যে- জামায়াত চেয়েছিল এক পাকিস্তান। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন এবং বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের কারণে সারা জাতি ফুসে উঠেছিল, মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা আমাদের কলিজা দিয়ে ভালোবেসে কবুল করে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তখনকার সময়ে আমাদের চিন্তা বিজয়ী হয়নি, সেই সময় আমাদের চিন্তা পরাজিত হয়েছে, আমাদের সিদ্ধান্ত পরাজিত হয়েছে। এখান জনগণ মূল্যায়ন করবে আমাদের সেই ভূমিকা কতটা যথার্থ ছিল।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় যায় তখন তাদের নিষিদ্ধের ঘোর পেয়ে বসে। নিষিদ্ধের রাজনীতি আমাদের সমর্থনের বিষয় না। এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা, সেটি জনগণই ঠিক করবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কার করবে আর কিছু সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে বর্তমান সরকারের। তারা তাড়াহুড়া নেই বলে এই বিষয়টি টেনে লম্বা যেনো না করে এই কথা আমরা বারবার বলেছি।

সম্প্রতি বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বক্তব্যে দল দুটির মধ্যে দূরত্বের বিষয়টি সামনে আসলেও তা মানতে নারাজ জামায়াত আমির। বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মৌলিক সংস্কার করা সব সংস্কার নয়। কিছু সংস্কার করবে অন্তর্বর্তী সরকার আর কিছু সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে বর্তমান সরকারের। তারা তাড়াহুড়া নেই বলে এই বিষয়টি টেনে লম্বা যেনো না করে এই কথা আমরা বারবার বলেছি।

শেয়ার করুন

জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তবে…

সময় ০৪:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসেও জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, দলটি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না। তবে ঐতিহাসিকভাবেই সত্য, দলগতভাবে জামায়াতে ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।

জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তবে ভারতের সহযোগিতায় স্বাধীনতার সুফল না পাওয়ার শঙ্কা ছিল বলে দাবি করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের কাছে দলটি বেশি সুবিধা পাচ্ছে- এমন আলোচনাকেও ‘মিথ্যা প্রচার’ দাবি করেছেন।

গত দেড় দশকে দলের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি থেকে রাজনীতি নিষিদ্ধ, সব মিলিয়ে বেশ কায়দা করেই টিকে থাকতে হয়েছে জামায়াতে ইসলামীকে। গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অনেকটা মধুর সময় পার করছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় দলের অবস্থান থেকে সাম্প্রতিক রাজনীতি, সার্বিক বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেছেন ডা. শফিকুর রহমান।

বিএনপি-জামায়াত
বিএনপি-জামায়াত

একাত্তরে দলের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দেন জামায়াত আমীর।

তিনি বলেন, আমার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলাম না। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভারতের সহযোগিতায় যদি দেশ স্বাধীন হয় তাহলে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবে না। এরপরেও এটা সঠিক যে- জামায়াত চেয়েছিল এক পাকিস্তান। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন এবং বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের কারণে সারা জাতি ফুসে উঠেছিল, মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা আমাদের কলিজা দিয়ে ভালোবেসে কবুল করে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তখনকার সময়ে আমাদের চিন্তা বিজয়ী হয়নি, সেই সময় আমাদের চিন্তা পরাজিত হয়েছে, আমাদের সিদ্ধান্ত পরাজিত হয়েছে। এখান জনগণ মূল্যায়ন করবে আমাদের সেই ভূমিকা কতটা যথার্থ ছিল।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় যায় তখন তাদের নিষিদ্ধের ঘোর পেয়ে বসে। নিষিদ্ধের রাজনীতি আমাদের সমর্থনের বিষয় না। এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা, সেটি জনগণই ঠিক করবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কার করবে আর কিছু সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে বর্তমান সরকারের। তারা তাড়াহুড়া নেই বলে এই বিষয়টি টেনে লম্বা যেনো না করে এই কথা আমরা বারবার বলেছি।

সম্প্রতি বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বক্তব্যে দল দুটির মধ্যে দূরত্বের বিষয়টি সামনে আসলেও তা মানতে নারাজ জামায়াত আমির। বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মৌলিক সংস্কার করা সব সংস্কার নয়। কিছু সংস্কার করবে অন্তর্বর্তী সরকার আর কিছু সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে বর্তমান সরকারের। তারা তাড়াহুড়া নেই বলে এই বিষয়টি টেনে লম্বা যেনো না করে এই কথা আমরা বারবার বলেছি।