রূপরেখা স্পষ্ট করতে হবে
উত্তপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম !
- সময় ০৩:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
- / 176
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের তিন মাস পর আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। তিন দফা দাবিতে কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছিল জবি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত লাইব্রেরির সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে টানা এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তিন দফা দাবিতে আমরা আজ প্রশাসনিক ভবনের দুইটি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিচে এসে আমাদের সঙ্গে কথা না বলছে ততক্ষণ পর্যন্ত এভাবে তালা লাগানো অবস্থায় বিক্ষোভ মিছিল চলতে থাকবে। আমরা গতকাল (৪ নভেম্বর) আন্দোলন শুরু করেছি। আজকেও এ ধারাবাহিকতায় আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের এ কর্মসূচি অবিরত চলবে দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত। আজকে আমরা সড়ক অবরোধে যায়নি জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে। আমরা কিন্তু এখনো শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি।
আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প পরিচালককে (পিডি) পদত্যাগ করতে হবে, শিক্ষার্থীরা কিছু করার আগেই। নতুবা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কিছু করে বসলে আমরা বাঁধা দিতে পারব না। অতিদ্রুত আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিন।
শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা আগামীকাল পুনরায় ক্লাসে-ক্লাসে গিয়ে জনসংযোগ করব। শিক্ষার্থীদের জনমত তৈরি করতে এ ক্লাস ক্যাম্পিং চলমান থাকবে। প্রশাসনের মূলা ঝুলানো কথায় আগের দিনের মতো শিক্ষার্থীরা চুপ করে বসে থাকবে না। আমাদের তিন দফা দাবি আদায়ে কোনো বিলম্ব হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি—
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দ্বায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে যে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়া হয়েছে এবং হস্তান্তর প্রক্রিয়ার রূপরেখা স্পষ্ট করতে হবে।
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।