ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুরি করে ১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০৯:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 242

নির্বাচন

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের প্রাথমিক তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ইসির এনআইডি সার্ভারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর ইমেজ বা কপি তৈরি করে, বেআইনিভাবে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস নাম প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হয় বা তাদেরকে বিক্রির এক্সেস দেয়া হয়।

পুলিশ বলছে, ১৮২টি দেশি বিদেশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল এসব তথ্য। ২০২ সালের চৌঠা অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ইসির এনআইডি তথ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবে না।

পুলিশের দাবি, এই চুক্তি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে এনআইডির তথ্য অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি এক মামলার পর ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি মানুষের তথ্য আছে। সাধারণতএনআইডিতে একজন নাগরিকের ৪৬ ধরনের তথ্য নেওয়া হয়। মামলায় এসব তথ্য চুরির অভিযোগ তোলা হয়। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে নাম, ছবি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পিতা ও মাতার নাম এবং তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্বামী বা স্ত্রীর নাম, পেশা, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ ও ধর্ম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তথ্যউপাত্ত দেওয়ায় নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং ব্যক্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিয়ে তার পুরো পরিবারকে শনাক্ত করার সুযোগ রয়েছে।

শেয়ার করুন

চুরি করে ১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি

সময় ০৯:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের প্রাথমিক তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ইসির এনআইডি সার্ভারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর ইমেজ বা কপি তৈরি করে, বেআইনিভাবে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস নাম প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হয় বা তাদেরকে বিক্রির এক্সেস দেয়া হয়।

পুলিশ বলছে, ১৮২টি দেশি বিদেশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল এসব তথ্য। ২০২ সালের চৌঠা অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ইসির এনআইডি তথ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবে না।

পুলিশের দাবি, এই চুক্তি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে এনআইডির তথ্য অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি এক মামলার পর ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি মানুষের তথ্য আছে। সাধারণতএনআইডিতে একজন নাগরিকের ৪৬ ধরনের তথ্য নেওয়া হয়। মামলায় এসব তথ্য চুরির অভিযোগ তোলা হয়। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে নাম, ছবি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পিতা ও মাতার নাম এবং তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্বামী বা স্ত্রীর নাম, পেশা, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ ও ধর্ম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তথ্যউপাত্ত দেওয়ায় নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং ব্যক্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিয়ে তার পুরো পরিবারকে শনাক্ত করার সুযোগ রয়েছে।