চাঁদপুরে প্রাণে রক্ষা পেলেন দুই হাজার লঞ্চ যাত্রী
- সময় ০২:৫৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 14
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হাইমচরে মধ্যরাতে বরিশালগামী প্রিন্স আওলাদ ১০ ও ঢাকাগামী কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে দুই লঞ্চের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে প্রিন্স আওলাদ ১০ ও কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের সামনের অংশ ভেঙে যায়। পরে যাত্রীদের রক্ষায় লঞ্চটি চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুই লঞ্চের যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সারারাত লঞ্চটি এভাবেই আটকে থাকে। সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে শুভরাজ লঞ্চ এসে প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের প্রায় দুই হাজার যাত্রীকে উদ্ধার করে।
লঞ্চের যাত্রী জামাল হোসেন জানান, মেঘনা নদীর হাইমচর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ সংঘর্ষে লঞ্চটি কেঁপে ওঠে। দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি লঞ্চের সামনের অংশ ভেঙে যায়।
এমভি প্রিন্স আওলাদ ১০ এর সুপারভাইজার মোহাম্মদ হৃদয় বলেন, কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের রাডার জিপিআরএস কিছুই নেই। যার কারণে লঞ্চটিকে সংকেত দেওয়ার পরও তারা না মেনে উল্টো দিকে চলে আসায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে লঞ্চের কেউ হতাহত হয়নি। সকালে আমাদের কোম্পানির অন্য একটি লঞ্চ যাত্রীদের উদ্ধার করে বরিশালে নিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ দুটিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুটি লঞ্চের সামনে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সকালে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঠিক সময়ে ঢাকা পৌঁছেছে। এছাড়া প্রিন্স আওলাদ ১০ লঞ্চের যাত্রীদের অন্য একটি লঞ্চে বরিশালের উদ্দেশে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক বাবু লাল বৌদ্ধ জানান, ঢাকাগামী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি ঢাকা নদী বন্দরে যাত্রীসহ রওনা হয়। তবে লঞ্চ দুটির ক্ষয়ক্ষতি হলেও উভয় লঞ্চের কোনো যাত্রী আহত হয়নি।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম এস ইকবাল জানান, ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিনিয়ত লঞ্চ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। মধ্যরাতে চাঁদপুর নৌ সীমানার মেঘনা নদীতে প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চ ও এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।