ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দাবি-আন্দোলন থামছেই না

চতুর্মুখী চাপে ‘ইউনূস প্রশাসন’

উৎপল দাস
  • সময় ০১:০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 114

ড. ইউনূস সরকার

শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন তিন মাস হলো। কিন্তু এরই মধ্যে নানা পক্ষের দাবি নিয়ে চতুর্মুখী চাপে পড়েছে সরকার।

একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিরবচ্ছিন্ন নির্বাচনের দাবি, অন্যদিকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের নিয়ে সমালোচনা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৃদ্ধি পাওয়া সমালোচনা—এসব মিলে সরকারকে এক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি করেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের ওপর চাপ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সামাল দিতে মাঝেমধ্যেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। পরীক্ষা না দিয়ে এইচএসসিতে কয়েক বিষয়ে ছাত্রদের অটোপাসের আন্দোলন সফল হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যেন হালে পানি পেয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সচিবালয়ের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি সচিবালয় ঘেরাও করেছেন। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে, যার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল সেনাবাহিনীকে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন নিয়োগকৃত উপদেষ্টাদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুযোগসুবিধা পাওয়া দুই উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেওয়ায় ছাত্র-জনতা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে এ নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, এ নিয়োগে তারা নিজেদের প্রতি ‘মশকরা’ মনে করছেন। বিশেষ করে দেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাইরে রংপুর ও রাজশাহী থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি আরও উচ্চকিত হচ্ছে।

মূল্যস্ফীতি
মূল্যস্ফীতি

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন করে তুলেছে। আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমলেও অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে। ফলে দৈনন্দিন জীবনে সংকটে পড়েছে দেশের মানুষ। এ বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অক্ষমতার অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষ।

বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। দলগুলোর বক্তব্য, দেশের সংকট সমাধানের কাজ রাজনৈতিক সরকারের দ্বারাই সম্পন্ন হওয়া উচিত। যদিও সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, শুধু নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষ জীবন বাজি রাখেনি, কিন্তু বিরোধী দলগুলো তাদের দাবিতে অটল। নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতরা সরকারের এক উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের যথাযথ সেবা দেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে উপদেষ্টাকে সামনে পেয়ে আহতরা তাঁর পথ আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, ‘নিয়োগকৃত উপদেষ্টাদের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান অবহেলিত হচ্ছে।’ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ বা ‘পুসাব’ প্ল্যাটফর্মে তারা জানিয়েছেন, অন্যায় হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

তিতুমীর কলেজ
তিতুমীর কলেজ

গতকালও রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সেটিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালী এলাকাকে কার্যত অচল করে রাখে।

এরমধ্যে আজ সকালে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদকে ঢাকায় আসার অনুমতি দানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনা অভিযোগে অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দেয়।

দেশে সামাজিক অপরাধ বেড়েই চলেছে। নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও এসব সমস্যার লাগাম টানতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার তৈরি করছে আরেক ধরনের চাপ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর কূটনৈতিকভাবে সরকারের ওপর নানান চাপ তৈরির কথাও প্রচার করা হচ্ছে।

পুলিশের বাধার মুখে সাদপন্থিরা
পুলিশের বাধার মুখে সাদপন্থিরা

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সরকারের উচিত দ্রুত একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা, যাতে দেশের জনগণের সমর্থন পেতে পারে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী জানান, ‘বাংলাদেশের মতো দেশে সরকার পরিচালনায় চাপ থাকবেই। তা ছাড়া গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এ সরকারের দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারে নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তাই কিছু মানুষ এ সরকারকে “এনজিওগ্রাম সরকার” বলে মন্তব্য করছেন।’

সুকুমার সরকার নামের একজন নাগরিক বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, ভারত বিরোধিতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলেছে ‘নতুন’ বাংলাদেশ। পাকিস্তান থেকে জাহাজে করে পণ্য আমদানির পর এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হল। ইউনুস সরকারের একের পর এক পদক্ষেপ ও পাক ঘনিষ্ঠতা চাপ বাড়াচ্ছে ভারতের।

শেয়ার করুন

দাবি-আন্দোলন থামছেই না

চতুর্মুখী চাপে ‘ইউনূস প্রশাসন’

সময় ০১:০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন তিন মাস হলো। কিন্তু এরই মধ্যে নানা পক্ষের দাবি নিয়ে চতুর্মুখী চাপে পড়েছে সরকার।

একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিরবচ্ছিন্ন নির্বাচনের দাবি, অন্যদিকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের নিয়ে সমালোচনা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৃদ্ধি পাওয়া সমালোচনা—এসব মিলে সরকারকে এক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি করেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের ওপর চাপ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সামাল দিতে মাঝেমধ্যেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। পরীক্ষা না দিয়ে এইচএসসিতে কয়েক বিষয়ে ছাত্রদের অটোপাসের আন্দোলন সফল হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যেন হালে পানি পেয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সচিবালয়ের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি সচিবালয় ঘেরাও করেছেন। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে, যার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল সেনাবাহিনীকে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন নিয়োগকৃত উপদেষ্টাদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুযোগসুবিধা পাওয়া দুই উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেওয়ায় ছাত্র-জনতা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে এ নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, এ নিয়োগে তারা নিজেদের প্রতি ‘মশকরা’ মনে করছেন। বিশেষ করে দেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাইরে রংপুর ও রাজশাহী থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি আরও উচ্চকিত হচ্ছে।

মূল্যস্ফীতি
মূল্যস্ফীতি

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন করে তুলেছে। আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমলেও অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে। ফলে দৈনন্দিন জীবনে সংকটে পড়েছে দেশের মানুষ। এ বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অক্ষমতার অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষ।

বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। দলগুলোর বক্তব্য, দেশের সংকট সমাধানের কাজ রাজনৈতিক সরকারের দ্বারাই সম্পন্ন হওয়া উচিত। যদিও সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, শুধু নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষ জীবন বাজি রাখেনি, কিন্তু বিরোধী দলগুলো তাদের দাবিতে অটল। নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতরা সরকারের এক উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের যথাযথ সেবা দেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে উপদেষ্টাকে সামনে পেয়ে আহতরা তাঁর পথ আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, ‘নিয়োগকৃত উপদেষ্টাদের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান অবহেলিত হচ্ছে।’ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ বা ‘পুসাব’ প্ল্যাটফর্মে তারা জানিয়েছেন, অন্যায় হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

তিতুমীর কলেজ
তিতুমীর কলেজ

গতকালও রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সেটিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালী এলাকাকে কার্যত অচল করে রাখে।

এরমধ্যে আজ সকালে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদকে ঢাকায় আসার অনুমতি দানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনা অভিযোগে অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দেয়।

দেশে সামাজিক অপরাধ বেড়েই চলেছে। নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও এসব সমস্যার লাগাম টানতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার তৈরি করছে আরেক ধরনের চাপ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর কূটনৈতিকভাবে সরকারের ওপর নানান চাপ তৈরির কথাও প্রচার করা হচ্ছে।

পুলিশের বাধার মুখে সাদপন্থিরা
পুলিশের বাধার মুখে সাদপন্থিরা

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সরকারের উচিত দ্রুত একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা, যাতে দেশের জনগণের সমর্থন পেতে পারে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী জানান, ‘বাংলাদেশের মতো দেশে সরকার পরিচালনায় চাপ থাকবেই। তা ছাড়া গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এ সরকারের দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারে নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তাই কিছু মানুষ এ সরকারকে “এনজিওগ্রাম সরকার” বলে মন্তব্য করছেন।’

সুকুমার সরকার নামের একজন নাগরিক বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, ভারত বিরোধিতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলেছে ‘নতুন’ বাংলাদেশ। পাকিস্তান থেকে জাহাজে করে পণ্য আমদানির পর এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হল। ইউনুস সরকারের একের পর এক পদক্ষেপ ও পাক ঘনিষ্ঠতা চাপ বাড়াচ্ছে ভারতের।