ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
র‍্যাবের দাবি

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সেভেন মার্ডার করে ইরফান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৩:১৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 30

ইরফান

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে আলোচিত সাত খুনের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান এ তথ্য জানিয়েছে উল্লেখ করে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ আট মাস ধরে কোনো ধরনের বেতন-ভাতা দিতেন না, এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান সবাইকে হত্যা করেন।

চাঁদপুরে সেভেন মার্ডার
চাঁদপুরে সেভেন মার্ডার

তিনি আরো বলেন, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিলেন। সেখান থেকে তিনি তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, সেটি আগে থেকেই জাহাজে ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল।

র‍্যাব আরো জানায়, ইরফান প্রথমে খাবারের মধ্যে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে। পরে হাতে গ্লাভস পরে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইমচর এলাকায় এসে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যায়। র‍্যাবের ভাষ্য, মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলায় ইরফান তাদেরও হত্যা করেন।

শেয়ার করুন

র‍্যাবের দাবি

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সেভেন মার্ডার করে ইরফান

সময় ০৩:১৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে আলোচিত সাত খুনের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান এ তথ্য জানিয়েছে উল্লেখ করে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ আট মাস ধরে কোনো ধরনের বেতন-ভাতা দিতেন না, এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান সবাইকে হত্যা করেন।

চাঁদপুরে সেভেন মার্ডার
চাঁদপুরে সেভেন মার্ডার

তিনি আরো বলেন, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিলেন। সেখান থেকে তিনি তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, সেটি আগে থেকেই জাহাজে ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল।

র‍্যাব আরো জানায়, ইরফান প্রথমে খাবারের মধ্যে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে। পরে হাতে গ্লাভস পরে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইমচর এলাকায় এসে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যায়। র‍্যাবের ভাষ্য, মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলায় ইরফান তাদেরও হত্যা করেন।