ঘুমিয়ে প্রশাসন: জামাই মেলাতে চলছে অশ্লীল নাচ-জুয়া
- সময় ১০:১৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 77
জামালপুরের মাদারগঞ্জে প্রশাসন যেখানে ঘুমিয়ে রয়েছে, সেখানে থেমে নেই জামাই মেলার নামে অশ্লীল নাচের পাশাপাশি জুয়া খেলা। এমন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিন ব্যাপি ৫০ টাকা মুল্যে লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়। পুরস্কারের লোভে টিকিট কিনছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। লটারির ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা । এদিকে সন্ধ্যা থেকেই মেলার তিনটি প্যান্ডেলে চলছে অশ্লীল নাচ। আর এ নাচের সময় মেয়েদের শরীর স্পর্শ করেই টাকা দিচ্ছে দর্শকরা । এতে যুব ও ছাত্র সমাজ ধ্বংসের মুখে যাচ্ছে ৷
উচ্চ শব্দে মাইক বাজিয়ে টিকিট বিক্রির পাশাপাশি অশ্লীল নৃত্যের গান বাজনার শব্দে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন অভিভাবক ।
স্থানীয় উজ্জ্বল মিয়া বলেন, জামাই মেলা হওয়ায় আমরা খুশি। তবে যে উচ্চ শব্দ থাকায় সন্তানদের পড়ালেখা সমস্যা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও তৃতীয় বারের মতো ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জে শুরু হয় ৮ দিন ব্যাপী জামাই মেলা। মেলার প্রথম দিনেই হাজারও মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। জামাই মেলার মূল চরিত্র ‘জামাই’ সম্পর্কের মানুষগুলো, মেলার সময় আশপাশের গ্রামগুলোতে মেয়ে আর জামাইকে দাওয়াত করে আনা হয়। জামাতারা মেলা থেকে বড় বড় মাছ কেনেন শ্বশুরবাড়ির জন্য। আবার জামাইকে মেলায় কেনাকাটার জন্য শ্বশুর শাশুড়ি টাকা দেন। সেই টাকা দিয়েই মেলা থেকে কেনাকাটা করে শ্বশুর বাড়িতে যান। গত দুই বছর ধরে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ জামাই মেলা শুরু হয়েছে। এবারের জামাই মেলায় প্রায় সাড়ে ৪০০টি বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে।
তবে মেলা শুরু থেকেই অশ্লীল নাচ হয় বিভিন্ন জায়গায় সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনা শুনে মেলায় গিয়ে দেখা গিয়েছে ভিন্ন চিত্র। যুবকরা টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করে স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে অশ্লীল নৃত্য উপভোগ করে টাকা ছিটিয়ে দিচ্ছেন । মেলার অশ্লীল নাচ-গানের দিকে ঝুঁকছে হাজার হাজার কিশোর, যুবক ও শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাচ দেখে বাইরে এসে এক যুবক জানান, যে নাচ দেখলাম ভাই একদম খোলামেলা ডান্স। তবে খুব ভাল লাগছে।
এদিকে স্থানীয় আব্দুল সোবহান মন্ডল জানান, জামাই মেলায় অশ্লীল নৃত্য এটা আমাদের এলাকার চরম বদনাম। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
বিষয়টি নিয়ে মাদারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন জানান, আমি এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি৷