ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোলাগুলিতে আটক সাজেকের পর্যটকরা কেমন আছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
  • সময় ০৩:২৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 77

সাজেক

পর্যটননগরী সাজেকে ঘুরতে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় ৫০০ পর্যটক। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে দুই দিন ধরে দুই আঞ্চলিক গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এই অবস্থায় ৫০০ পর্যটক সেখানে আটকা পড়েছেন। নিরাপত্তা বিবেচনায় এখনও তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। দেশের ভূস্বর্গ খ্যাত এই পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। তারা কেমন আছেন, সেটা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন সাজেক কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।

গোলাগুলি
গোলাগুলি

এর আগে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে সাজেক ভ্যালিতে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসব এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বুধবার থেকে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, পর্যটকরা নিরাপদে আছে এবং সুস্থ আছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, সাজেকে চার-পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা আছে। পরিস্থিতি বুঝে তাদের সাজেক ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় তিন দিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিল জেলা প্রশাসন। পরে সেই নিরুৎসাহিতকরণ আরও দুই দফা বাড়ানো হয়।

সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপ ও ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

গোলাগুলির তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার। তবে কোন দুটি দলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

বাঘাইছড়ি সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানান, গত দুই দিন ধরে সাজেকে দুর্গম এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়েছি। এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার কারণে সেখানে এখনও পুলিশ পৌঁছাতে পারেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একটি টিম উক্ত এলাকায় যাবে। এই ঘটনায় হতাহতের কোন তথ্য আমাদের হাতে নেই।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সাজেকে থাকা পর্যটকদের এখনও ফিরিয়ে আনা হয়নি। তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। তবে সেটা কখন তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।

শেয়ার করুন

গোলাগুলিতে আটক সাজেকের পর্যটকরা কেমন আছেন?

সময় ০৩:২৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্যটননগরী সাজেকে ঘুরতে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় ৫০০ পর্যটক। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে দুই দিন ধরে দুই আঞ্চলিক গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এই অবস্থায় ৫০০ পর্যটক সেখানে আটকা পড়েছেন। নিরাপত্তা বিবেচনায় এখনও তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। দেশের ভূস্বর্গ খ্যাত এই পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। তারা কেমন আছেন, সেটা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন সাজেক কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।

গোলাগুলি
গোলাগুলি

এর আগে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে সাজেক ভ্যালিতে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসব এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বুধবার থেকে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, পর্যটকরা নিরাপদে আছে এবং সুস্থ আছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, সাজেকে চার-পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা আছে। পরিস্থিতি বুঝে তাদের সাজেক ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় তিন দিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিল জেলা প্রশাসন। পরে সেই নিরুৎসাহিতকরণ আরও দুই দফা বাড়ানো হয়।

সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপ ও ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

গোলাগুলির তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার। তবে কোন দুটি দলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

বাঘাইছড়ি সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানান, গত দুই দিন ধরে সাজেকে দুর্গম এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়েছি। এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার কারণে সেখানে এখনও পুলিশ পৌঁছাতে পারেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একটি টিম উক্ত এলাকায় যাবে। এই ঘটনায় হতাহতের কোন তথ্য আমাদের হাতে নেই।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সাজেকে থাকা পর্যটকদের এখনও ফিরিয়ে আনা হয়নি। তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। তবে সেটা কখন তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।