গোপালগঞ্জে ১০ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে | Bangla Affairs
০৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে ১০ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ
  • সময় ০৪:১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 40

গোপালগঞ্জে মহাবারুনীর স্নান উৎসব

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১৪তম জন্ম তিথি উপলক্ষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মতুয়া সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ মহা বারুনীর স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুণ্য লাভের আশায় দেশ ও বিদেশের লাখ লাখ মতুয়া ভক্তরা এ পুণ্য স্নানে অংশ নিচ্ছেন। এ উপলক্ষে ঠাকুর বাড়ীতে বসেছে তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা। এবারের মেলায় ১০ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

বারুনী স্নাণ উৎসব গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টা থেকে শুরু হয়েছে যা চলবে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টা পর্যন্ত। পাপ থেকে মুক্তি ও পুন্য লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অন্তত ১০ লাক্ষাধিক পুন্যার্থী অংশ নিচ্ছেন এ স্নান উৎসবে।

শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর পরিবারের সদস্য ও স্নানোৎসব কমিটির সভাপতি সুব্রত ঠাকুর বলেন, এখানে পুণ্য লাভের আশায় সারা দেশ থেকে পূর্ণার্থীরা আসেন, স্নাণ করেন। শুধু বাংলাদেশই নয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, চীন, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মতুয়া ভক্তের আগমন ঘটে। ভক্তরা এখানে এসে স্নান করলে তাদের মানোবাসনা পূরণ হয়। এ উৎসবকে ঘিরে ভক্তদের থাকার জন্য করা হয়েছে আবাসন ও প্রসাদের ব্যবস্থা। সেনা বাহিনী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের প্রায় সাত শতাধিক স্বেচ্ছাসবক সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এ স্নান উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় সুউচ্চ পর্যবেক্ষন চৌকি ও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়।আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হেয়েছে।

শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জে ১০ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে

সময় ০৪:১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১৪তম জন্ম তিথি উপলক্ষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মতুয়া সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ মহা বারুনীর স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুণ্য লাভের আশায় দেশ ও বিদেশের লাখ লাখ মতুয়া ভক্তরা এ পুণ্য স্নানে অংশ নিচ্ছেন। এ উপলক্ষে ঠাকুর বাড়ীতে বসেছে তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা। এবারের মেলায় ১০ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

বারুনী স্নাণ উৎসব গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টা থেকে শুরু হয়েছে যা চলবে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টা পর্যন্ত। পাপ থেকে মুক্তি ও পুন্য লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অন্তত ১০ লাক্ষাধিক পুন্যার্থী অংশ নিচ্ছেন এ স্নান উৎসবে।

শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর পরিবারের সদস্য ও স্নানোৎসব কমিটির সভাপতি সুব্রত ঠাকুর বলেন, এখানে পুণ্য লাভের আশায় সারা দেশ থেকে পূর্ণার্থীরা আসেন, স্নাণ করেন। শুধু বাংলাদেশই নয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, চীন, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মতুয়া ভক্তের আগমন ঘটে। ভক্তরা এখানে এসে স্নান করলে তাদের মানোবাসনা পূরণ হয়। এ উৎসবকে ঘিরে ভক্তদের থাকার জন্য করা হয়েছে আবাসন ও প্রসাদের ব্যবস্থা। সেনা বাহিনী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের প্রায় সাত শতাধিক স্বেচ্ছাসবক সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এ স্নান উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় সুউচ্চ পর্যবেক্ষন চৌকি ও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়।আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হেয়েছে।