০৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার পর লেবাননে ইসরায়েলের হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ০৭:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 26

গাজার পর লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

দক্ষিণ লেবাননে কামান ও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (২২ মার্চ) নতুন করে এ হামলা চালায় তারা। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা সীমান্ত পেরিয়ে ছোড়া রকেট প্রতিহত করেছে। এই সংঘর্ষও সেখানকার নাজুক যুদ্ধবিরতি হুমকি সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে চলা বছরব্যাপী যুদ্ধ শেষ হয়েছিল ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ একসময় ব্যাপক ইসরায়েলি অভিযানে রূপ নেয়। এতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার, বহু যোদ্ধা এবং তাদের অস্ত্রভাণ্ডারের বড় অংশ ধ্বংস হয়।

এই যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের তীব্র বোমাবর্ষণ ও লেবাননে স্থল অভিযানের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর প্রতিদিনের রকেট হামলা বন্ধ করেছিল। তবে উভয় পক্ষই একে অপরকে চুক্তির শর্ত পুরোপুরি পালন না করার অভিযোগ করেছে।

শনিবারের এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইসরায়েল কার্যত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতিও লঙ্গন করেছে। হিজবুল্লাহর মিত্র হামাস ও হিজবুল্লাহ উভয়ই ইসরায়েলের চিরশত্রু ইরানের সমর্থনপুষ্ট।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা লেবাননের সীমান্ত থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তরের একটি অঞ্চল থেকে ছোড়া তিনটি রকেট প্রতিহত করেছে। এটি ছিল নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সীমান্ত অতিক্রম করে হামলার ঘটনা।

ইসরায়েলের সেনা রেডিও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী কামান দিয়ে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।

তবে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি কামান হামলায় দক্ষিণ লেবাননের দুটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সীমান্তের কাছাকাছি তিনটি শহরে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

তবে উভয় পক্ষের কেউ হতাহতের খবর নিশ্চিত করেনি।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

হিজবুল্লাহ এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কোনও অস্ত্র থাকার কথা নয়। ইসরায়েলি সেনাদের ওই অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করার কথা এবং লেবাননের সেনাবাহিনীর ওই এলাকায় মোতায়েন থাকার কথা।

চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে সব সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলার এবং অনুমোদনবিহীন সব অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার দায়িত্ব লেবানন সরকারের।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ লেবাননের সরকারকে তার ভূখণ্ড থেকে ছোড়া রকেটের জন্য দায়ী করেছেন।

ইসরায়েল দাবি করেছে, হিজবুল্লাহ এখনও দক্ষিণ লেবাননে সামরিক অবকাঠামো ধরে রেখেছে, অন্যদিকে লেবানন ও হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েল এখনো লেবাননের ভূমি দখল করে রেখেছে এবং কিছু বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ও সীমান্তের কাছে পাঁচটি পাহাড়ি অবস্থানে সেনা মোতায়েন রেখেছে।

শেয়ার করুন

গাজার পর লেবাননে ইসরায়েলের হামলা

সময় ০৭:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

দক্ষিণ লেবাননে কামান ও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (২২ মার্চ) নতুন করে এ হামলা চালায় তারা। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা সীমান্ত পেরিয়ে ছোড়া রকেট প্রতিহত করেছে। এই সংঘর্ষও সেখানকার নাজুক যুদ্ধবিরতি হুমকি সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে চলা বছরব্যাপী যুদ্ধ শেষ হয়েছিল ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ একসময় ব্যাপক ইসরায়েলি অভিযানে রূপ নেয়। এতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার, বহু যোদ্ধা এবং তাদের অস্ত্রভাণ্ডারের বড় অংশ ধ্বংস হয়।

এই যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের তীব্র বোমাবর্ষণ ও লেবাননে স্থল অভিযানের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর প্রতিদিনের রকেট হামলা বন্ধ করেছিল। তবে উভয় পক্ষই একে অপরকে চুক্তির শর্ত পুরোপুরি পালন না করার অভিযোগ করেছে।

শনিবারের এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইসরায়েল কার্যত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতিও লঙ্গন করেছে। হিজবুল্লাহর মিত্র হামাস ও হিজবুল্লাহ উভয়ই ইসরায়েলের চিরশত্রু ইরানের সমর্থনপুষ্ট।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা লেবাননের সীমান্ত থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তরের একটি অঞ্চল থেকে ছোড়া তিনটি রকেট প্রতিহত করেছে। এটি ছিল নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সীমান্ত অতিক্রম করে হামলার ঘটনা।

ইসরায়েলের সেনা রেডিও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী কামান দিয়ে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।

তবে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি কামান হামলায় দক্ষিণ লেবাননের দুটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সীমান্তের কাছাকাছি তিনটি শহরে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

তবে উভয় পক্ষের কেউ হতাহতের খবর নিশ্চিত করেনি।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

হিজবুল্লাহ এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কোনও অস্ত্র থাকার কথা নয়। ইসরায়েলি সেনাদের ওই অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করার কথা এবং লেবাননের সেনাবাহিনীর ওই এলাকায় মোতায়েন থাকার কথা।

চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে সব সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলার এবং অনুমোদনবিহীন সব অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার দায়িত্ব লেবানন সরকারের।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ লেবাননের সরকারকে তার ভূখণ্ড থেকে ছোড়া রকেটের জন্য দায়ী করেছেন।

ইসরায়েল দাবি করেছে, হিজবুল্লাহ এখনও দক্ষিণ লেবাননে সামরিক অবকাঠামো ধরে রেখেছে, অন্যদিকে লেবানন ও হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েল এখনো লেবাননের ভূমি দখল করে রেখেছে এবং কিছু বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ও সীমান্তের কাছে পাঁচটি পাহাড়ি অবস্থানে সেনা মোতায়েন রেখেছে।