গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯২৬ জনে পোঁছেছে | Bangla Affairs
০৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯২৬ জনে পোঁছেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১০:৪৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 28

গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নৃশংস গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ)। ইহুদিবাদী দেশটির বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভূখণ্ডটিতে আরও ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০৬ জন।

ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯২৬ জনে পোঁছেছে। এতে আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জন। নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছেন বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ১৫ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।

জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহবান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এ অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

শেয়ার করুন

গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯২৬ জনে পোঁছেছে

সময় ১০:৪৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নৃশংস গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ)। ইহুদিবাদী দেশটির বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভূখণ্ডটিতে আরও ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০৬ জন।

ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯২৬ জনে পোঁছেছে। এতে আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জন। নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছেন বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ১৫ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।

জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহবান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এ অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।