মোংলায় সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান
গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুশাসন নিশ্চিত করা

- সময় ১০:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
- / 13
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণআকাঙ্খা বাস্তবায়নে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার তথা সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা অকাতরে তাদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে কোন ফ্যাসিবাদের জায়গা হবেনা। অন্তর্ভূক্তিমূলক স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে আইনের শাসন, সম্প্রীতি ও মানবিক মোংলা প্রতিষ্ঠায় আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই।
মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল ) বিকালে মোংলার মিঠাখালী বাজারে মোংলা নাগরিক সমাজ’র আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনার জবাবে সংবর্ধিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবনিযুক্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সমাজ’র আহ্বায়ক সাংবাদিক ও পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনিসুর রহমান, বিএনপি নেতা স. ম. ফরিদ, আব্দুল মান্নান হাওলাদার, জামায়াত নেতা মাওলানা আবু হানিফ, আইউব আলী হাওলাদার, ইমাম রকিবুল ইসলাম, মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসান, সুন্দরবন জাদুঘরের পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, মোংলা টেকনিক্যাল ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম, মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. অসিত বসু, ব্যাংকার জহির আহমেদ, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এম এ মামুন, সার্ভিস বাংলাদেশ’র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, উপকূলীয় নারীনেত্রী কমলা সরকার প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোংলার কৃতি সন্তান ,নবনিযুক্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে আরো বলেন, আমরা এমন কোন কাজ যেন না করি যাতে শহীদদের আত্মা কষ্ট পায়। তিনি অপরাধ দমনে আইনশৃংখলা বাহিনীকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ বলেন রাষ্ট্র মেরামতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিত হবে। দেশে যাতে আর কোনদিনও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে তার জন্য গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের সতর্ক থাকতে হবে। নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথিকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সবশেষে প্রধান অতিথি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সম্মানে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।