খুবিতে হিন্দু শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা
- সময় ১১:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
- / 77
এবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু এক শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা খুবির মেধাবী শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকারকে গুলি করে চলে যায়।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে খুলনা মহানগরীর কেডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের তেঁতুলতলার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত অর্ণব কুমার সরকার নগরীর বসুপাড়া কলেজিয়েট স্কুলের পাশের বাসিন্দা নীতিশ কুমার সরকারের ছেলে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আহসান হাবীব এই খুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
উল্লেখ্য, অর্ণব কুমার সরকার (২৬) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ-এর ছাত্র ছিলেন।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিমুল শিহাব নামে এক বহিরাগত শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে শিমুল কীভাবে মারা গেছেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
নিহত শিমুল শিহাব রাজশাহী কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজশাহী নগরের মেহেড়চন্ডী এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দাবি করলেও নিহতের শরীরের বাইরের অংশে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাম্পাস থেকে রাত ১১টার দিকে একটি ছেলেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে লুকানো হচ্ছিল।
পরে জেরার মুখে মারামারিতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। তাকে ‘ফিজিক্যাল অ্যাসল্টেড ব্রট ডেথ’ হিসেবে পেয়েছেন। শরীরের বাইরের অংশে বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতরে শিমুল তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে সায়েন্স ভবনের দিকে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে প্রক্টর দপ্তরের গাড়ি দেখে তারা বাইক নিয়ে পালাতে গেলে ওই যুবক রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ও পরে রামেক হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’