জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানহ সব আসামি খালাস
- সময় ১১:৪৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
- / 13
বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া এ মামলায় বাকি আসামিদেরও খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, এ মামলায় আসামিদের কারও অপরাধ পাওয়া যায়নি। আর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জানান, সবাইকে খালাস দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট এবং বিচারিক আদালত- দুই রায়ই বাতিল করা হয়েছে।
এরআগে এই মামলায় খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছিল। চার দিনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। এই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে দুই বছরের বেশি সময় জেলও খেটেছেন তিনি। অংশ নিতে পারেননি জাতীয় নির্বাচনে।
বেগম জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ছয় আসামির তিনজনের আপিল আবেদনের ওপর চার দিন ধরে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে।
শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকাই আত্মসাৎ হয়নি। কুয়েতের আমিরের পাঠানো পুরো ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যাংকেই আছে। কেবল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে টাকাটা ট্রাস্টের জন্য অন্য ফান্ডে ট্রান্সফার হয়েছে। এখানে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো ধরনের অনিয়ম বা বিশ্বাস ভঙ্গ করেননি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামালের দাবি, কোনো অপরাধের প্রমাণ না পেয়ে কেবল অনুমান নির্ভর অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের সাজা দেওয়া হয়। জিয়া পরিবারকে নির্বাচন ও রাজনীতিতে থেকে দূরে রাখতে এমন ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়। দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন দুটোতেই নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর নির্বাচনে আর বাধা নেই।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়াকে দুই মামলার সাজা থেকে রাষ্ট্রপতি মওকুফ করলেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আইনি লড়াইয়ে যান তিন বারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।