ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্য মজুদ স্বাভাবিক ও চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যবস্থা

সিনিয়র প্রতিবেদক, কক্সবাজার
  • সময় ০৪:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 33

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

দেশে খাদ্যশস্যে.র সরকারি মজুদ ও আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, যদি বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে, তবে সাম্প্রতিক চাল সংকট কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আগামী রমজানকে কেন্দ্র করে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভা শেষে দুপুর ১টার দিকে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খাদ্য উপদেষ্টা।

তিনি জানান, খাদ্য সংকট দেখা দিলে সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালানের আশঙ্কা বেড়ে যায়। অতীতে সার ও জ্বালানি তেলের চোরাচালান হওয়ার প্রবণতা ছিল, তাই সীমান্ত নজরদারি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনোভাবেই খাদ্যশস্যের চোরাচালান যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে চোরাচালানের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা। এজন্য সীমান্ত এলাকায় বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, এপিবিএন পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে ৫৪ কিলোমিটার জলসীমান্ত।

শেয়ার করুন

খাদ্য মজুদ স্বাভাবিক ও চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যবস্থা

সময় ০৪:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দেশে খাদ্যশস্যে.র সরকারি মজুদ ও আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, যদি বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে, তবে সাম্প্রতিক চাল সংকট কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আগামী রমজানকে কেন্দ্র করে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভা শেষে দুপুর ১টার দিকে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খাদ্য উপদেষ্টা।

তিনি জানান, খাদ্য সংকট দেখা দিলে সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালানের আশঙ্কা বেড়ে যায়। অতীতে সার ও জ্বালানি তেলের চোরাচালান হওয়ার প্রবণতা ছিল, তাই সীমান্ত নজরদারি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনোভাবেই খাদ্যশস্যের চোরাচালান যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে চোরাচালানের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা। এজন্য সীমান্ত এলাকায় বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, এপিবিএন পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে ৫৪ কিলোমিটার জলসীমান্ত।