ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাগড়াছড়ি কারাগারে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি
  • সময় ০৬:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 71

মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন জেলার আকতার শেখ

খাগড়াছড়ি কারাগারে আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর সদ্য অবমুক্ত হওয়া জেলার মো. আকতার হোসেন শেখের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে কয়েকজন কারারক্ষী। তাদের মধ্যে নাফিজ নামের এক কারারক্ষী ছিলেন চূড়ান্ত উত্তেজিত। তাই তার কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন জেল সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন মিয়া। এছাড়া অবমুক্ত হওয়া জেলার আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে জেলখানায় মাদক ব্যবসার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ টার দিকে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে কারাগারে। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

কারা গোয়েন্দা শাখার একজন সদস্য জানান, তিন কারারক্ষীকে অনৈতিকভাবে বদলি করা এবং জেলারের নানা অনিয়মের অভিযোগে তারা আন্দোলন শুরু করেন। বিকাল ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ আন্দোলনরত কারারক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এ সময়, আন্দোলনরতদের ডিউটি থেকে বিরত করে তাদের অস্ত্র জমা নেন।

যদিও জেল সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন মিয়া বলেছেন, মাত্র একজন কারারক্ষীর কাছে থেকেই অস্ত্র জমা নেয়া হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে, নতুন জেলার হিসাবে খাগড়াছড়িতে যোগ দেয়ার প্রথম দিনেই মঞ্জুরুল ইসলাম এমন ঘটনার সাক্ষী হলেন। তিনি বলেন, আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আগের জেলার আকতার হোসেন শেখ বদলিজনিত কারণে হস্তান্তর করেন এবং দুপুরে কারারক্ষীরা আন্দোলন শুরু করেন।

আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া হয়রানিমূলক বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে তাদের বিভাগীয় বদলি করতে হবে।

খাগড়াছড়ি কারাগারের কয়েকজন কারারক্ষী বলেছেন, জেলার আকতার হোসেন শেখ ২০২৩ সালের শেষের দিকে এখানে যোগদান করেন। নিজের ক্ষমতার দাপট দেখাতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্তা। নিজের নামের পাশে শেখ থাকার কারণে কথায় কথায় হুমকি দিতেন। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙানোর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, মানুষটার ব্যবহার ছিল খুবই বাজে। কারারক্ষীদের দিয়ে তিনি নানা ধরণের জেলখানায় অবৈধ মাদকও প্রবেশ করাতেন। আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন নির্যাতিত কারারক্ষীরা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সদ্য খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে বদলি হওয়া জেলার মো. আকতার হোসেন শেখকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি কারাগারে উত্তেজনা

সময় ০৬:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খাগড়াছড়ি কারাগারে আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর সদ্য অবমুক্ত হওয়া জেলার মো. আকতার হোসেন শেখের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে কয়েকজন কারারক্ষী। তাদের মধ্যে নাফিজ নামের এক কারারক্ষী ছিলেন চূড়ান্ত উত্তেজিত। তাই তার কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন জেল সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন মিয়া। এছাড়া অবমুক্ত হওয়া জেলার আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে জেলখানায় মাদক ব্যবসার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ টার দিকে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে কারাগারে। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

কারা গোয়েন্দা শাখার একজন সদস্য জানান, তিন কারারক্ষীকে অনৈতিকভাবে বদলি করা এবং জেলারের নানা অনিয়মের অভিযোগে তারা আন্দোলন শুরু করেন। বিকাল ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ আন্দোলনরত কারারক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এ সময়, আন্দোলনরতদের ডিউটি থেকে বিরত করে তাদের অস্ত্র জমা নেন।

যদিও জেল সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন মিয়া বলেছেন, মাত্র একজন কারারক্ষীর কাছে থেকেই অস্ত্র জমা নেয়া হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে, নতুন জেলার হিসাবে খাগড়াছড়িতে যোগ দেয়ার প্রথম দিনেই মঞ্জুরুল ইসলাম এমন ঘটনার সাক্ষী হলেন। তিনি বলেন, আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আগের জেলার আকতার হোসেন শেখ বদলিজনিত কারণে হস্তান্তর করেন এবং দুপুরে কারারক্ষীরা আন্দোলন শুরু করেন।

আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া হয়রানিমূলক বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে তাদের বিভাগীয় বদলি করতে হবে।

খাগড়াছড়ি কারাগারের কয়েকজন কারারক্ষী বলেছেন, জেলার আকতার হোসেন শেখ ২০২৩ সালের শেষের দিকে এখানে যোগদান করেন। নিজের ক্ষমতার দাপট দেখাতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্তা। নিজের নামের পাশে শেখ থাকার কারণে কথায় কথায় হুমকি দিতেন। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙানোর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, মানুষটার ব্যবহার ছিল খুবই বাজে। কারারক্ষীদের দিয়ে তিনি নানা ধরণের জেলখানায় অবৈধ মাদকও প্রবেশ করাতেন। আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন নির্যাতিত কারারক্ষীরা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সদ্য খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে বদলি হওয়া জেলার মো. আকতার হোসেন শেখকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।