ক্ষমা চাইলেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা

- সময় ১১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 7
নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষিকা তাহমিনা রহমান।
রোববার (০৬ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে তাহমিনা রহমান লিখেছেন, আমি সাম্প্রতিক ঘটনাটি নিয়ে কিছু বলতে চাই, যা ৭ এপ্রিল, ২০২৫-এ গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। প্রথমেই বলতে চাই, আমার কথার ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে গভীর কষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন । আমি কখনোই ফিলিস্তিন ও গাজার মজলুম মুসলিমের ওপর নিকৃষ্ট ইসরায়েলের ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করিনি, এখনো করি না, কখনোই করব না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশট নিয়ে তিনি বলেন, যে স্ক্রিনশটগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তা আমার প্রকৃত মনোভাবকে প্রতিফলিত করে না। এখানে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এবং আমার কথাগুলো ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আমি নিঃসন্দেহে গাজা ও তার জনগণের পাশে আছি, তাদের ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার দাবিকে কঠোরভাবে ও গভীরভাবে সমর্থন করি। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যার জন্য আমি ইসরায়েলের করুণ ধ্বংস চাই, মনে প্রাণে চাই, আল্লাহর কাছে চাই।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথনটি ছিল কিছুটা বিকালের দিকের, আমি সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ না থাকার জন্য আমি বুঝতে পারিনি এটি পুরো বিশ্বের ও বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের একটি কালেক্টিভ প্রটেস্ট । আমি নিতান্তই আমার নিজ ব্যাচ এর সেকশনের কিছু শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত ভেবেছিলাম তাই আমার প্রতিক্রিয়া এরূপ ছিল। তবে সেটা হলেও আমার এইরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি। এই কারণে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
দুঃখ প্রকাশের করে তিনি বলেন, আমার শিক্ষার্থী, সহকর্মী, বন্ধু এবং এই ঘটনার দ্বারা যারা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করলে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত দেখানোর হুমকি দিয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষিকা তাহমিনা রহমান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ
-
সর্বাধিক
Devoloped By: InnoSoln Limited