ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়বে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট ০৮:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / 34

ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়বে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘রেইনবো নেশন’ (রংধনু জাতি) গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে ঢাকায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী ‘গারো’ সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিতে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, আমরা একটি রেইনবো নেশন তৈরি করব। অর্থাৎ এমন একটি সমাজ যেখানে সব সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং তাদের অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বিএনপি সরকারে এলে আপনারা প্রত্যেকের সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।”

গারো সম্প্রদায়ের বিশেষ দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য পৃথক অধিদপ্তর গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী সরকারে ঢাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি গঠন করা হবে এবং গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব সরকারিভাবে পালন করার ব্যবস্থা করা হবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “মূল ধারা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে এক করার চেষ্টা করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল শুধু বাঙালি নয়, দেশের সব আদিবাসী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাই গারো সম্প্রদায়ের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি বলেন, “বিএনপির দায়িত্ব হলো ক্ষুদ্র সম্প্রদায়গুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ধরে রাখা।”

এসময় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, “গারো সম্প্রদায় নিজেদের দুর্বল মনে করবেন না। সংখ্যায় কম হতে পারেন, তবে আমরা আপনাদের ভাই, পাশে আছি। সংসদে আপনার প্রতিনিধি যেকোনো বিষয়ে আপনার পক্ষে কথা বলবে, এতে কোনো অংশে আপস হবে না।”

সঞ্চয় নাফাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্রিস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটির পরিচালক বাপন মানকিন, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক পরাগ রিটসিল এবং আয়োজক কমিটির শুভজিত স্যানগমা নাকমা প্রমুখ।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়বে বিএনপি

সর্বশেষ আপডেট ০৮:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘রেইনবো নেশন’ (রংধনু জাতি) গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে ঢাকায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী ‘গারো’ সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিতে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, আমরা একটি রেইনবো নেশন তৈরি করব। অর্থাৎ এমন একটি সমাজ যেখানে সব সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং তাদের অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বিএনপি সরকারে এলে আপনারা প্রত্যেকের সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।”

গারো সম্প্রদায়ের বিশেষ দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য পৃথক অধিদপ্তর গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী সরকারে ঢাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি গঠন করা হবে এবং গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব সরকারিভাবে পালন করার ব্যবস্থা করা হবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “মূল ধারা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে এক করার চেষ্টা করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল শুধু বাঙালি নয়, দেশের সব আদিবাসী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাই গারো সম্প্রদায়ের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি বলেন, “বিএনপির দায়িত্ব হলো ক্ষুদ্র সম্প্রদায়গুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ধরে রাখা।”

এসময় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, “গারো সম্প্রদায় নিজেদের দুর্বল মনে করবেন না। সংখ্যায় কম হতে পারেন, তবে আমরা আপনাদের ভাই, পাশে আছি। সংসদে আপনার প্রতিনিধি যেকোনো বিষয়ে আপনার পক্ষে কথা বলবে, এতে কোনো অংশে আপস হবে না।”

সঞ্চয় নাফাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্রিস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটির পরিচালক বাপন মানকিন, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক পরাগ রিটসিল এবং আয়োজক কমিটির শুভজিত স্যানগমা নাকমা প্রমুখ।