কৃষকদল নেতাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে চাপ

- সময় ০৬:৫১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / 167
পিরোজপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিব খানকে মামলার আসামি থেকে অব্যাহতি দিতে জেলা কৃষক দলের সভাপতির নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল স্থানীয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে প্রভাব খাটান বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও অভিযুক্তরা বলছেন, তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খানকে (৪৫) গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারের সময় হাবিব খানের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় রবিবার (৬ এপ্রিল) পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মিঠুন কুমার দাস বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খানের স্ত্রী মোসা. নাসিমা আক্তার (৪০) ও সদর উপজেলার পান্তাডুবি গ্রামের আক্কাছ আলী শেখের ছেলে নুরুজ্জামান শেখ (৩৫)।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) মোজাম্মেল বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খান আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছে। অভিযানে সত্যতা যাচাইয় ও আসামি হানিফ খানকে আটকের জন্য গেলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এবং হানিফ খান পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই মামলার তিন নম্বর আসামি জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিব খান। তিনি বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খান তার আপন ভাই। ঘটনার দিন তার মায়ের ফোন পেয়ে তিনি ওই বাড়িতে যান। এবং তার উপস্থিতির আগেই তার ভাই পালিয়ে যান। তিনি পুলিশের সাথে কোন অসদাচারন করেননি।
তিনি জানান, মামলা থেকে তার নাম বাদ দিতে কৃষক দলের জেলা সভাপতি নাছির আহমেদ বাচ্চু ও কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন আক্তার হোসেন সেন্টু পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসেরের কাছে অনুরোধ করেছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানতে চাইলে কৃষক দলের জেলা সভাপতি নাছির আহমেদ বাচ্চু বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, ঘটনার পরের দিন ৬ এপ্রিল তারা পুলিশ সুপারের সাথে স্বাক্ষাত করে ‘মামলায় হাবিব খান’ জড়িত না, বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানান। এ সময় তার সাথে কৃষক দলের বিভিন্ন ইউনিটের ২০-২৫ জন ছিলেন।
পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের জানান, তারা এসে অনুরোধ করেছেন। কোন ধরনের চাপ বা হুমকি-ধামকি ছিলো না। ‘অনুরোধ যে কেউ করতেই পারেন।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});