ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা কতুবউদ্দিন

‘কুষ্টিয়া সুগার মিল চালু হলে কোনো ক্রেডিট নিবো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
  • সময় ০৮:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 25

কুষ্টিয়া সুগার মিলের সামনে মতবিনিময় সভা

লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে চার বছর আগে বন্ধ হওয়া কুষ্টিয়া সুগার মিলে পুনরায় আখ মাড়াই কার্যক্রম চালুকরন প্রসঙ্গে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিলটি আবার চালু হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তার কোনো ক্রেডিট বা কৃতিত্ব নিবে না বলেও জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতিতে কুষ্টিয়া সুগার মিলের গেটে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কুষ্টিয়া আখ চাষি কমিটির সভাপতি আলম মালিথার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি-র আহবায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ।প্রধান বক্তা জেলা বিএনপি-র সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, সঞ্চালনায় ছিলেন ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শিপন।

এ সময় জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি মিল চালু হয় এর জন্য আমরা কোন ধরনের ক্রেডিট নিব না। একই সাথে যদি চালু না হয় তার দায়ভারও আমাদের নেই। তবে মিলের শ্রমিক, চাষি, কর্মচারি কর্মকর্তা, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে চালু করা চেষ্টা করবো।

কুষ্টিয়া সুগার মিলের সামনে মতবিনিময় সভা
কুষ্টিয়া সুগার মিলের সামনে মতবিনিময় সভা

আখ চাষী মনিরুল ইসলাম বলেন,মিল বন্ধের সময় তার মাঠে ১৫ বিঘা জায়গা জুড়ে আখ লাগানো ছিলো।বন্ধ মিলে আখ না নেওয়ায় সে সময় ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।মিলটা মুলত দুর্নীতির কারনে বন্ধ হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

চাষী মজিদ বলেন, আমি প্রথম শ্রেণির একজন চাষী এবং চিনি ব্যবসায়ী ছিলাম।মিল বন্ধের যন্ত্রণা এখনো রয়েছে। এই মিল থেকে আয়কৃত অর্থ দিয়ে পরিবার চলতো।বন্ধ হওয়া মিল চালুর যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়।

চাষী নজরুল বলেন, সরকার বদল হলেই যে মিল চালানো সম্ভব তা নয়। নিজেদের চরিত্র বদলাতে হবে আর আওয়ামীলীগের চোরদের মিল থেকে বের করতে হবে

কুষ্টিয়া চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিথুন বলেন, কুষ্টিয়া সুগার মিল চালুর সময় চল্লিশ হাজার চাষী, আটশো চুক্তিভিত্তিক কর্মরত শ্রমিক,নিয়োগপ্রাপ্ত চারশত জন স্থায়ী কর্মচারি কর্মকর্তা ছিলেন। হঠাৎ মিল বন্ধ হওয়ায় চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ও চাষীরা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তবে চালুর উদ্যোগে আশার আলোর সম্ভাবনা রয়েছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মিলের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী, আখ চাষীরা, সমাজ প্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।

শেয়ার করুন

মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা কতুবউদ্দিন

‘কুষ্টিয়া সুগার মিল চালু হলে কোনো ক্রেডিট নিবো না’

সময় ০৮:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে চার বছর আগে বন্ধ হওয়া কুষ্টিয়া সুগার মিলে পুনরায় আখ মাড়াই কার্যক্রম চালুকরন প্রসঙ্গে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিলটি আবার চালু হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তার কোনো ক্রেডিট বা কৃতিত্ব নিবে না বলেও জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতিতে কুষ্টিয়া সুগার মিলের গেটে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কুষ্টিয়া আখ চাষি কমিটির সভাপতি আলম মালিথার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি-র আহবায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ।প্রধান বক্তা জেলা বিএনপি-র সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, সঞ্চালনায় ছিলেন ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শিপন।

এ সময় জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি মিল চালু হয় এর জন্য আমরা কোন ধরনের ক্রেডিট নিব না। একই সাথে যদি চালু না হয় তার দায়ভারও আমাদের নেই। তবে মিলের শ্রমিক, চাষি, কর্মচারি কর্মকর্তা, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে চালু করা চেষ্টা করবো।

কুষ্টিয়া সুগার মিলের সামনে মতবিনিময় সভা
কুষ্টিয়া সুগার মিলের সামনে মতবিনিময় সভা

আখ চাষী মনিরুল ইসলাম বলেন,মিল বন্ধের সময় তার মাঠে ১৫ বিঘা জায়গা জুড়ে আখ লাগানো ছিলো।বন্ধ মিলে আখ না নেওয়ায় সে সময় ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।মিলটা মুলত দুর্নীতির কারনে বন্ধ হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

চাষী মজিদ বলেন, আমি প্রথম শ্রেণির একজন চাষী এবং চিনি ব্যবসায়ী ছিলাম।মিল বন্ধের যন্ত্রণা এখনো রয়েছে। এই মিল থেকে আয়কৃত অর্থ দিয়ে পরিবার চলতো।বন্ধ হওয়া মিল চালুর যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়।

চাষী নজরুল বলেন, সরকার বদল হলেই যে মিল চালানো সম্ভব তা নয়। নিজেদের চরিত্র বদলাতে হবে আর আওয়ামীলীগের চোরদের মিল থেকে বের করতে হবে

কুষ্টিয়া চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিথুন বলেন, কুষ্টিয়া সুগার মিল চালুর সময় চল্লিশ হাজার চাষী, আটশো চুক্তিভিত্তিক কর্মরত শ্রমিক,নিয়োগপ্রাপ্ত চারশত জন স্থায়ী কর্মচারি কর্মকর্তা ছিলেন। হঠাৎ মিল বন্ধ হওয়ায় চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ও চাষীরা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তবে চালুর উদ্যোগে আশার আলোর সম্ভাবনা রয়েছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মিলের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী, আখ চাষীরা, সমাজ প্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।