০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়েটে সেনা-বিজিবি মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুয়েট
  • সময় ১০:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 43

কুয়েটে সেনা-বিজিবি মোতায়েন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা “ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না”, “দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই”—এমন স্লোগান দিতে দিতে বিভিন্ন ছাত্র হল প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়, যা পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নেয়।

সংঘর্ষের ঘটনাটি কুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কুয়েট পকেট গেটের কাছে বহিরাগতদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। তারা একটি পক্ষের হয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয়, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

কুয়েটে ছাত্রদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪০
কুয়েটে ছাত্রদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত চারটি অ্যাম্বুলেন্সে আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিকেলে, কুয়েট পকেট গেটের বাইরে বিএনপি-সমর্থিত বহিরাগতরা এক ছাত্রকে মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভেতর ফেলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

এছাড়া, বহিরাগতরা কুয়েটের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং প্রধান ফটকের সামনে কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। ক্যাম্পাসে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, “ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”

ক্যাম্পাসে উত্তেজনা নিরসনে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

কুয়েটে সেনা-বিজিবি মোতায়েন

সময় ১০:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা “ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না”, “দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই”—এমন স্লোগান দিতে দিতে বিভিন্ন ছাত্র হল প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়, যা পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নেয়।

সংঘর্ষের ঘটনাটি কুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কুয়েট পকেট গেটের কাছে বহিরাগতদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। তারা একটি পক্ষের হয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয়, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

কুয়েটে ছাত্রদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪০
কুয়েটে ছাত্রদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত চারটি অ্যাম্বুলেন্সে আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিকেলে, কুয়েট পকেট গেটের বাইরে বিএনপি-সমর্থিত বহিরাগতরা এক ছাত্রকে মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভেতর ফেলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

এছাড়া, বহিরাগতরা কুয়েটের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং প্রধান ফটকের সামনে কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। ক্যাম্পাসে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, “ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”

ক্যাম্পাসে উত্তেজনা নিরসনে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে জানানো হয়েছে।