ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও পিতার ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুয়াকাটা
  • সময় ১০:০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 18

কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও পিতার ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশ রুপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি কেএম বাচ্চু ও তার পিতা ইউনুচ খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকারের ছেলে সম্রাট (২৩) আহত হয়েছেন।

কুয়াকাটা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার এবং শ্রমিকদলের সদস্য শহীদুল ইসলাম, আঃ কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আহত সাংবাদিক বাচ্চু।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর পিতা ইউনুচ খলিফা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এসময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন সে। পরে ইউনুচ খলিফা প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আলী হোসেন খন্দকার। এর কিছুক্ষণ পর পিতাকে অপমানের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌঁছলে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী হোসেন খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে মারধর করেন।

এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও পিতার ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি
কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও পিতার ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি

প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল নামের একজন জানান, বাচ্চুকে ৩/৪ জন মিলে মারধর করছে। এমন অবস্থায় তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার উপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও পিতার ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি

সময় ১০:০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশ রুপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি কেএম বাচ্চু ও তার পিতা ইউনুচ খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকারের ছেলে সম্রাট (২৩) আহত হয়েছেন।

কুয়াকাটা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার এবং শ্রমিকদলের সদস্য শহীদুল ইসলাম, আঃ কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আহত সাংবাদিক বাচ্চু।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর পিতা ইউনুচ খলিফা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এসময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন সে। পরে ইউনুচ খলিফা প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আলী হোসেন খন্দকার। এর কিছুক্ষণ পর পিতাকে অপমানের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌঁছলে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী হোসেন খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে মারধর করেন।

এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও পিতার ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি
কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও পিতার ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি

প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল নামের একজন জানান, বাচ্চুকে ৩/৪ জন মিলে মারধর করছে। এমন অবস্থায় তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার উপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।