কুয়াকাটায় যুবদল নেতা রাখাইনদের ক্ষেতের ধান কেটে নিয়ে গেলো

- সময় ১২:২২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 55
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে রাখাইনদের ক্ষেতের আড়াইশ’ মন ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুয়াকাটা কেরানী পাড়ার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের সহ সভাপতি লুমা রাখাইন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি করেন।
লুমা রাখাইন অভিযোগ করেন, কুয়াকাটা পৌরসভা সংলগ্ন লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা এলাকায় তার ৭.১৮ একর জমি রয়েছে, যেখানে মঙ্গলবার সকালে ধান কেটে রাখা ছিল। সেই দিন বিকেলে মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আলী আক্কাসের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন লোক জোরপূর্বক তার ক্ষেতের ধান কেটে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর লুমা রাখাইন, লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান মুসুল্লিকে অবহিত করলে, তিনি তাকে মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু লুমা বলেন, তিনি মামলা না করে বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চান, তারা কি মাদক কারবারির মতো সন্ত্রাসী বাহিনী পুষছে।
লুমা রাখাইন আরও জানান, তার বাবা মংচিং কবিরাজের মালিকানাধীন ৭ দশমিক ১৮ একর জমি স্থানীয় মংফরম তালুকদারের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি হয়েছিল, তবে রেজিস্ট্রি দলিল ছিল না। পরবর্তীতে তিনি এই সম্পত্তি ফেরত নিয়ে পুরো টাকা মংফরম তালুকদারকে ফেরত দেন এবং সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এ বিষয়টি এভিডেভিট করে রেকর্ড করান।
এদিকে, তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তার ভাই এমংচি ওরফে ইয়াইমাচিং ২০১০ সালে দেশে ফিরে তার পাওনা ২ দশমিক ৪ একর জমি তাকে ফেরত দেয়, পরে সেই জমি আবার বিক্রি করে দেয়। কিন্তু ২০২২ সালে যুবদল নেতা আক্কাসের প্ররোচনায় তার ভাই মিথ্যা দেওয়ানী মামলা দায়ের করে, যাতে তারা তার জমি দখল করতে পারে। বর্তমানে এ মামলার বিচার আদালতে চলমান।
লুমা রাখাইন আরও বলেন, তার জমি দখল এবং ধান লুট করার সময় যুবদল নেতা আক্কাস এবং তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। তারা তাদের বাঁধা দিতে সাহস পায়নি, এবং পরে তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা আলী আক্কাসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা এবং তিনি এ ঘটনাটি সম্পর্কে কিছু জানেন না।
শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ
-
সর্বাধিক
Devoloped By: InnoSoln Limited