কুড়িগ্রামে ঈদের বেচাবিক্রির হালচাল ভালো না | Bangla Affairs
০৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে ঈদের বেচাবিক্রির হালচাল ভালো না

এম জি রাব্বুল ইসলাম পাপ্পু, কুড়িগ্রাম
  • সময় ০৮:১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • / 20

কুড়িগ্রামে ঈদ শপিংয়ের হালচাল ভালো না

প্রতিবছর রমজানের শুরু থেকে কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটে কেনাকাটা শুরু হলেও ১৫ রমজান থেকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে নামিদামি পোশাকের শোরুম ও বিপণী বিতান গুলোর মধ্যে ক্রেতা নেই বললেই চলে । দিনের বেলায় স্বল্প কিছু ক্রেতার দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর থেকে কমতে থাকে তাদের সংখ্যা। সর্বোপরি, কুড়িগ্রামে ঈদের বেচাবিক্রির হালচাল ভালো না বলেই মনে করেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলেন গতবার বেচাকেনা বেশি ছিল, ক্রেতাদের মধ্যে চলতো দর কষাকষি। ক্রেতারা নিয়ে যেতেন তাদের পছন্দের পোশাক। এবারে হয়েছে তার উল্টো চিত্র।

অলস সময় কাটাচ্ছেন নামিদামি পোশাকের শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধিরা। কুড়িগ্রামের কয়েকটি শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, আমরা রিজনেবল প্রাইসই পোশাক বিক্রি করে থাকি তবুও কয়েকদিন থেকে বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে।

কুড়িগ্রাম কলেজ রোডস্থ পোশাকের শোরুম “থ্রেডস” স্বত্বাধিকারী বলেন আমাদের শোরুমে প্রত্যেক ক্রেতাদের হাতের নাগালের মধ্যেই প্রাইস নির্ধারণ করে গ্রাহক সেবা দিয়ে আসছি তবুও এবার ঈদে আমাদের বিক্রি অনেক কম।

জেলার রিচম্যান, ব্লু-ড্রিম, আবরণী ফ্যাশন হাউজ, আড়ং, সহ অন্যান্য শোরুম গুলোরও একই অবস্থা। এর কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতায় এক শ্রেনীর ক্রেতাদের অনুপস্থিতি এবং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রধান কারন বলে মনে করছেন তারা।

তবে অভিজাত নামিদামি বিপণী-বিতান গুলো ছাড়া ফুটপাত ও মার্কেটের পূরাতন স্বনামধন্য দোকানগুলোতে ক্রেতা মোটামুটি চোখে পড়ার মতো। এতে অধিকাংশ ক্রেতাই ছিল নারী ও শিশু। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, নামীদামী ব্রান্ডের শোরুম গুলোতে পোশাকের দাম আকাশ ছোঁয়া। কুড়িগ্রামের মত দারিদ্র্যপ্রবণ জেলায় মধ্যবিত্তদের ঈদের স্বল্প বাজেট এবং ক্রয় ক্ষমতার বাইরে হওয়ায় এসব শোরুমে পোশাক কেনায় আগ্রহ কম।

কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহিন ও সম্পাদক বাধন জানান, আগের চেয়ে ব্যবসা কিছুটা কম। অত্র এলাকা কৃষি নির্ভর এবারে আলুর দামও নেই তাই মানুষের নিকট টাকা নেই। কিছু সাধারণ লোকজন এসে ভিড় করলেও অনেকে ক্রয় না করে দেখে শুনে চলে যায়।

তবে চাঁদ রাত বা তার আগেরদিন, এই দুই দিন মার্কেটে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদারের পাশাপাশি মার্কেটে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।

শেয়ার করুন

কুড়িগ্রামে ঈদের বেচাবিক্রির হালচাল ভালো না

সময় ০৮:১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

প্রতিবছর রমজানের শুরু থেকে কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটে কেনাকাটা শুরু হলেও ১৫ রমজান থেকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে নামিদামি পোশাকের শোরুম ও বিপণী বিতান গুলোর মধ্যে ক্রেতা নেই বললেই চলে । দিনের বেলায় স্বল্প কিছু ক্রেতার দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর থেকে কমতে থাকে তাদের সংখ্যা। সর্বোপরি, কুড়িগ্রামে ঈদের বেচাবিক্রির হালচাল ভালো না বলেই মনে করেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলেন গতবার বেচাকেনা বেশি ছিল, ক্রেতাদের মধ্যে চলতো দর কষাকষি। ক্রেতারা নিয়ে যেতেন তাদের পছন্দের পোশাক। এবারে হয়েছে তার উল্টো চিত্র।

অলস সময় কাটাচ্ছেন নামিদামি পোশাকের শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধিরা। কুড়িগ্রামের কয়েকটি শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, আমরা রিজনেবল প্রাইসই পোশাক বিক্রি করে থাকি তবুও কয়েকদিন থেকে বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে।

কুড়িগ্রাম কলেজ রোডস্থ পোশাকের শোরুম “থ্রেডস” স্বত্বাধিকারী বলেন আমাদের শোরুমে প্রত্যেক ক্রেতাদের হাতের নাগালের মধ্যেই প্রাইস নির্ধারণ করে গ্রাহক সেবা দিয়ে আসছি তবুও এবার ঈদে আমাদের বিক্রি অনেক কম।

জেলার রিচম্যান, ব্লু-ড্রিম, আবরণী ফ্যাশন হাউজ, আড়ং, সহ অন্যান্য শোরুম গুলোরও একই অবস্থা। এর কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতায় এক শ্রেনীর ক্রেতাদের অনুপস্থিতি এবং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রধান কারন বলে মনে করছেন তারা।

তবে অভিজাত নামিদামি বিপণী-বিতান গুলো ছাড়া ফুটপাত ও মার্কেটের পূরাতন স্বনামধন্য দোকানগুলোতে ক্রেতা মোটামুটি চোখে পড়ার মতো। এতে অধিকাংশ ক্রেতাই ছিল নারী ও শিশু। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, নামীদামী ব্রান্ডের শোরুম গুলোতে পোশাকের দাম আকাশ ছোঁয়া। কুড়িগ্রামের মত দারিদ্র্যপ্রবণ জেলায় মধ্যবিত্তদের ঈদের স্বল্প বাজেট এবং ক্রয় ক্ষমতার বাইরে হওয়ায় এসব শোরুমে পোশাক কেনায় আগ্রহ কম।

কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহিন ও সম্পাদক বাধন জানান, আগের চেয়ে ব্যবসা কিছুটা কম। অত্র এলাকা কৃষি নির্ভর এবারে আলুর দামও নেই তাই মানুষের নিকট টাকা নেই। কিছু সাধারণ লোকজন এসে ভিড় করলেও অনেকে ক্রয় না করে দেখে শুনে চলে যায়।

তবে চাঁদ রাত বা তার আগেরদিন, এই দুই দিন মার্কেটে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদারের পাশাপাশি মার্কেটে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।