কার কোর্টে সাকিবের সবুজ সংকেত?
- সময় ১১:২৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
- / 29
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় ও দীর্ঘ সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিষয়ে সবুজ সংকেত বিসিবির হাতে নেই। তবে কার কোর্টে আছে সেই সবুজ সংকেতের রিমোট কন্ট্রোল? বিষয়টি নিয়ে সাবিকভক্ত থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই। তবে এর সমাধানের কথাও জানিয়েছেন বিসিবির প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ। এক সময়ের প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, তার হাতে ক্ষমতা না থাকলেও রিমোর্ট কন্ট্রোল কোথায় আছে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। সাকিবকে দলে ফেরাতে চান ফারুক নিজেও।
এবারের বিপিএলে তো সাকিব আল হাসানের খেলা হলো না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের খেলা হবে কিনা- এমন প্রশ্ন এখন সাকিবভক্তদের মনে মনে।
সাকিবভক্তদের সেই প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার করে বলতে না পারলেও নতুন তথ্যের সংযোজন করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। আজ শুক্রবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে এসে সাকিব ইস্যুতে কথা বলেন বিসিবিপ্রধান।
ফারুক আহমেদ জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে খেলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত সাকিবের জন্য অপেক্ষা করবে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ বিষয় সাকিব ও সরকারি মহলের সঙ্গে কথা বলবে বিসিবি।
সাকিবের বিষয়টি যে শুধু বিসিবি-সংশ্লিষ্ট, তা নয়। বরং এর সঙ্গে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলও জড়িয়ে। যে কারণেই বিসিবি সভাপতি সাকিবের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। সিদ্ধান্ত নিতে হলে সরকারের সবুজ সংকেত পেতে হবে বিসিবিকে।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারটা আমি বলেছি, আসলে এটা আমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমি বলেছিলাম। মন্ত্রণালয় যখন বলেছে আমরাই এখানে ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের যে ক্রীড়া উপদেষ্টা আছেন, তিনি বলেছেন সাকিব খেলবে, সরকার তার যে সমস্যাটা সেটা দেখবে। তারপর শেষে যখন আসলো যে, এটাতে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে তখন বন্ধ হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তো দেশের বাইরে…। এটা বিপিএলের মাঝে নির্বাচকদের সঙ্গে বসেই একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবকে যেন খেলানো যায়, সেজন্য আমরা শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো। সাকিবের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো (খেলতে পারবে কিনা)।’
প্রেসবক্সে নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন ফারুক আহমেদ। বিসিবি সভাপতি জানান, তার কাছেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা বলেছেন শান্ত। তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত, সেটি খুলে বলেননি শান্ত। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের দায়িত্ব ছাড়লেও ওয়ানডে আর টেস্টে এখনো শান্তই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা বলেছে শান্ত। তবে ওয়ানডে ও টেস্টে এখনো সে আমাদের অধিনায়ক, আমাদের প্রিয় খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত শান্তই বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকবেন।’