কারাগারে কষ্টের ঝলকে আছেন পলক!
- সময় ০৪:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 34
আলোচিত-সমালোচিত সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হয়ে হত্যা মামলায় তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। সেখান থেকে আজ সোমবার ২ ডিসেম্বর তাকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে হাজির করা হয়। আদালতে দাঁড়িয়ে নিজের আক্ষেপ ও কষ্টের কথা বলেছেন কথা বলেন জুনায়েদ আহমদ পলক।
‘ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে আমাকে রাখা হয়েছে’ এজলাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে এমন আক্ষেপ জানিয়ে তিনি আরও জানান, ‘৫ হাত লম্বা ৪ হাত চওড়া সেলে আমাকে রাখা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ও ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন না।’
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহমেদের আদালতে পলককে হাজির করে রাজধানীর শাহবাগ থানার রিয়াজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় পলক আদালতের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান। আদালত অনুমতি দিলে পলক জানান, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে তিনি ডিভিশন পাচ্ছেন না। ৫ হাত লম্বা ৪ হাত চওড়া সেলে তাকে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। এ কারাগারের বেশিরভাগ আসামি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের মধ্যে তাকে রাখা হয়েছে। এ সময় আদালত তাকে লিখিত আবেদন দাখিল করতে বলেন।
শুনানি শেষে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে উক্ত মামলায় পলককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সাবেক সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রামপুরা, হাতিরঝিল ও শাহবাগ থানার নতুন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাতিরঝিল থানার খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় হাসনুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। শাহবাগ থানার নতুন হত্যা মামলায় দীপু মনি ও জুনায়েদ পলককে এবং রামপুরা থানার নতুন হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে ছিলেন তারা।