ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাতারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কাতার
  • সময় ০৮:১৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 66

কাতারে বিজয় দিবস উদযাপন

কাতারের দোহায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটির সদস্য এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের কর্মসূচীর সূচনা করা হয়।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করার পর মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং এ বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী সকল শহীদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এছাড়াও মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

কাতারে বিজয় দিবস উদযাপন
কাতারে বিজয় দিবস উদযাপন

বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য সদস্য মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ কালে কমিউনিটির নেতারা মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় অবদান ও আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন। এছাড়াও এ বছর জুলাই-আগষ্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে মাধ্যমে যে সুযোগ তৈরী হয়েছে তা কার্যকরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেন।

রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদ, নির্যাতিত মা-বোন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও তিনি এ বছর জুলাই-আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণ- অভ্যূত্থানে শহীদ ও আহত সকলের অবিশ্বরণীয় অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। অতঃপর তিনি মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য সংক্ষেপে আলোচনা করেন। তিনি জুলাই আগষ্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ তৈরী হয়েছে তা বাস্তবায়নে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার দ্বারা আপ্যায়িত করা হয়।

শেয়ার করুন

কাতারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

সময় ০৮:১৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কাতারের দোহায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটির সদস্য এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের কর্মসূচীর সূচনা করা হয়।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করার পর মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং এ বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী সকল শহীদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এছাড়াও মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

কাতারে বিজয় দিবস উদযাপন
কাতারে বিজয় দিবস উদযাপন

বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য সদস্য মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ কালে কমিউনিটির নেতারা মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় অবদান ও আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন। এছাড়াও এ বছর জুলাই-আগষ্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে মাধ্যমে যে সুযোগ তৈরী হয়েছে তা কার্যকরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেন।

রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদ, নির্যাতিত মা-বোন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও তিনি এ বছর জুলাই-আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণ- অভ্যূত্থানে শহীদ ও আহত সকলের অবিশ্বরণীয় অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। অতঃপর তিনি মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য সংক্ষেপে আলোচনা করেন। তিনি জুলাই আগষ্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ তৈরী হয়েছে তা বাস্তবায়নে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার দ্বারা আপ্যায়িত করা হয়।