ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিরাজের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে এক পরিবারের ৭ জন

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
  • সময় ০৫:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 268

কবিরাজের দেওয়া কৃমিনাশক ‘পাহাড়ি ফল’ খেয়ে নারী-শিশুসহ এক পরিবারের ৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন- কুড়ালিয়া গ্রামের একই পরিবারের ফারুক মিয়া (৩৫), কামরুন নাহার (৩০), রাবিয়া বেগম (৬০), হুসনে আরা (৬৫), মুজাহিদ (৯), ইকরা (৭), ও ইলমা (৩)।

স্বজনরা জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিজয়পুর গ্রামের এক কবিরাজের কাছ থেকে কৃমির ওষুধ আনেন তারা। ওই কবিরাজ তাদেরকে কৃমির ওষুধ হিসেবে এক ধরনের পাহাড়ি ফল দেন। নিয়মানুযায়ী আজ (শুক্রবার) সকালে পরিবারের সবাই খালি পেটে ওই ফল খাওয়ার পরপরই একে একে অজ্ঞান হতে থাকেন।

এসময় তারা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ভুক্তভোগীদের স্বজন হনুফা আক্তার বলেন, কৃমির ওষুধ হিসেবে কবিরাজের দেওয়া পাহাড়ি ফল খেয়েই সবার এই অবস্থা। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সবাইকে।

দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে পাহাড়ি ফল কৃমিনাশক হিসেবে খান তারা। এর ফলে তারা একই পরিবারের সাতজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে শিশুদের অবস্থা একটু বেশি খারাপ। তাই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৭ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।

শেয়ার করুন

কবিরাজের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে এক পরিবারের ৭ জন

সময় ০৫:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

কবিরাজের দেওয়া কৃমিনাশক ‘পাহাড়ি ফল’ খেয়ে নারী-শিশুসহ এক পরিবারের ৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন- কুড়ালিয়া গ্রামের একই পরিবারের ফারুক মিয়া (৩৫), কামরুন নাহার (৩০), রাবিয়া বেগম (৬০), হুসনে আরা (৬৫), মুজাহিদ (৯), ইকরা (৭), ও ইলমা (৩)।

স্বজনরা জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিজয়পুর গ্রামের এক কবিরাজের কাছ থেকে কৃমির ওষুধ আনেন তারা। ওই কবিরাজ তাদেরকে কৃমির ওষুধ হিসেবে এক ধরনের পাহাড়ি ফল দেন। নিয়মানুযায়ী আজ (শুক্রবার) সকালে পরিবারের সবাই খালি পেটে ওই ফল খাওয়ার পরপরই একে একে অজ্ঞান হতে থাকেন।

এসময় তারা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ভুক্তভোগীদের স্বজন হনুফা আক্তার বলেন, কৃমির ওষুধ হিসেবে কবিরাজের দেওয়া পাহাড়ি ফল খেয়েই সবার এই অবস্থা। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সবাইকে।

দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে পাহাড়ি ফল কৃমিনাশক হিসেবে খান তারা। এর ফলে তারা একই পরিবারের সাতজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে শিশুদের অবস্থা একটু বেশি খারাপ। তাই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৭ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।