০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কত টাকার বিনিময়ে কারখানায় আগুন!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১২:৫২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 39

কারখানায় আগুন

পুরান ঢাকার বিভিন্ন কারখানায় আগুন দেওয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। টার্গেট করা হচ্ছে ছোট কারখানাকে। এমন দুটি ঘটনার ফুটেজ দেখে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে বংশাল থানা। এ কাজে জড়িত একটি চক্র মাত্র ১০ হাজার টাকায় বাস্তবায়ন করছে পরিকল্পনা। পুলিশের ধারণা, অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে এভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে।

গত বুধবারের সিসি ক্যামেরার এক ফুটেজে পুরান ঢাকার কায়েতটুলির বি.কে লেইনে একটি জুতার কারখানায় আগুন দিতে দেখা যায় এক নারীকে। শ্রমিকের বেশে কারখানায় ঢুকে কয়েক জায়গায় আগুন লাগান তিনি।

কাছাকাছি সময়ে আরও একটি জুতার কারখানায় আগুন দেন আসমা বেগম নামের এই নারী। বোরকা আর মাথায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজের পরিচয় ঢাকেন আসমা। কাজ শেষে দ্রুতই সটকে পড়েন।

পুলিশ বলছে, প্রতিটি ঘটনায় ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কাজ করে আসমা বেগমের চক্র। আদালতে ১৬৪ ধারায়, অন্তত ৩টি ঘটনার স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন আসমা। বি.কে লেইনের ঘটনায় সহযোগী হিসেবে নিপুন, সুমন, ইব্রাহিম, মম, শাহেবার নাম জানিয়েছেন তিনি। আরও জানান, আগুনের পরিকল্পনা করেন সবাই মিলে, আর বাস্তবায়ন করেন আসমা।

এই কাজের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সম্প্রতি হাজারীবাগে চামড়ার গুদামে আগুনে এবং তাতে তাদের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও তদন্ত চলছে। পুলিশের ধারণা, অস্থিরতা তৈরি করতেই এমন পরিকল্পনা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান এসব কথা বলেন।

একই চক্র ২৫ জানুয়ারির মধ্যে, লালবাগ ও ওয়ারি এলাকায়ও আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

শেয়ার করুন

কত টাকার বিনিময়ে কারখানায় আগুন!

সময় ১২:৫২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

পুরান ঢাকার বিভিন্ন কারখানায় আগুন দেওয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। টার্গেট করা হচ্ছে ছোট কারখানাকে। এমন দুটি ঘটনার ফুটেজ দেখে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে বংশাল থানা। এ কাজে জড়িত একটি চক্র মাত্র ১০ হাজার টাকায় বাস্তবায়ন করছে পরিকল্পনা। পুলিশের ধারণা, অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে এভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে।

গত বুধবারের সিসি ক্যামেরার এক ফুটেজে পুরান ঢাকার কায়েতটুলির বি.কে লেইনে একটি জুতার কারখানায় আগুন দিতে দেখা যায় এক নারীকে। শ্রমিকের বেশে কারখানায় ঢুকে কয়েক জায়গায় আগুন লাগান তিনি।

কাছাকাছি সময়ে আরও একটি জুতার কারখানায় আগুন দেন আসমা বেগম নামের এই নারী। বোরকা আর মাথায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজের পরিচয় ঢাকেন আসমা। কাজ শেষে দ্রুতই সটকে পড়েন।

পুলিশ বলছে, প্রতিটি ঘটনায় ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কাজ করে আসমা বেগমের চক্র। আদালতে ১৬৪ ধারায়, অন্তত ৩টি ঘটনার স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন আসমা। বি.কে লেইনের ঘটনায় সহযোগী হিসেবে নিপুন, সুমন, ইব্রাহিম, মম, শাহেবার নাম জানিয়েছেন তিনি। আরও জানান, আগুনের পরিকল্পনা করেন সবাই মিলে, আর বাস্তবায়ন করেন আসমা।

এই কাজের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সম্প্রতি হাজারীবাগে চামড়ার গুদামে আগুনে এবং তাতে তাদের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও তদন্ত চলছে। পুলিশের ধারণা, অস্থিরতা তৈরি করতেই এমন পরিকল্পনা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান এসব কথা বলেন।

একই চক্র ২৫ জানুয়ারির মধ্যে, লালবাগ ও ওয়ারি এলাকায়ও আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।