কক্সবাজারে বন্ধুত্বের আড়ালে ভয়ংকর ফাঁদ

- সময় ০৮:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
- / 25
বন্ধুত্বের আড়ালে ভয়ংকর ফাঁদ। বেড়াতে আসা বন্ধুকে রোহিঙ্গা অপহরণ চক্রের হাতে তুলে দিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুইদিনের অভিযানে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে এসব তথ্য জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হলিদাবাগ এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে মো. সবুজ মামুনের সঙ্গে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আবদুল আমিনের বন্ধুত্ব ছিল দীর্ঘদিনের। একে অপরের বাড়িতে বেড়ানো ছিল স্বাভাবিক। তবে এই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আমিন তার বন্ধু ও তার ভাইপোকে অপহরণ চক্রের হাতে তুলে দেন এবং মুক্তিপণ আদায় করেন।
উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা হলেন— মো. সবুজ মামুন (৩০) এবং তার ভাইপো মেহেদি হাসান টিটু (৩০), যিনি বগুড়ার খান্দা ভিআইপি রোডের মৃত আহমদ আলী শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, খোরশেদ আলম (৩৫), পিতা মৃত ইসলাম মিয়া, মৌলভীবাজার, হ্নীলা ইউনিয়ন। মো. ইউসুফ (৩০), পিতা মৃত আবুল হোসেন, নয়াবাজার, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন এবং মো. ফয়সাল (১৯), পিতা নুরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার, হ্নীলা ইউনিয়ন।
পুলিশ জানায়, ২৬ জানুয়ারি বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হন সবুজ মামুন ও মেহেদি হাসান টিটু। তাদের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মামুনের স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।
২ মার্চ মামুনের বোন সুলতানা বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মুক্তিপণের লেনদেনের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয় এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা মুক্তিপণ আদায় করে তা অপহরণ চক্রের সদস্যদের হাতে তুলে দিত। এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত, যাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে অপহরণে সহায়তাকারী মূল হোতা আবদুল আমিন এখনও পলাতক। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, পুরো অপহরণ চক্রকে শনাক্ত করেছে পুলিশ, যা নির্মূলের জন্য অভিযান চলবে।
শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ
-
সর্বাধিক
Devoloped By: InnoSoln Limited