কক্সবাজারে কেএফসি, পিৎজা হাটসহ দশ প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর

- সময় ০৭:০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 4
কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল থেকে কেএফসি, পিৎজা হাটসহ অন্তত দশটি দোকানের সাইনবোর্ড লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় কয়েকজন পর্যটক আহত হয়েছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) কক্সবাজার সদরের কলাতলী মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বর হামলার প্রতিবাদে ‘ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কক্সবাজার শহরজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ জনতা।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে কক্সবাজারে যে মিছিল বের হয়েছে ওই মিছিল থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী কলাতলীর প্রায় ১০টির অধিক রেস্তোরাঁয় ভাংচুর করেছে৷ এতে বিশাল আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়েছে । পানসী রেস্তোরাঁ ভাংচুরের সময় একজন পর্যটকও আহত হয়েছেন, এর দায়ভার কে নিবে? পর্যটকে ভরপুর এ মৌসুমে এটা রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য বিশাল অশনিসংকেত।
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘ইসরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় কাঁচ লেগে কয়েকজন পর্যটক আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিনের প্রতি সব সময় সংহতি রয়েছে। আজকের বিক্ষোভ মিছিলেও আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। তবে কিছু উশৃঙ্খল লোকজন এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, যা কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য অশনিসংকেত। আমরা ইসরায়েলের পণ্য যত সম্ভব বর্জন করছি। তারা যদি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলত তাহলে সুন্দর একটা সমাধান হতো। ভাঙচুর করে পর্যটকদের কেন আহত করা হলো? আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের সুগন্ধা এলাকায় টফ ফ্লোরে কেএফসি এবং এর নিচে পিৎজা হাটের অবস্থান। সেখানে বেশকিছু কাঁচ ভেঙে পড়ে আছে। ভাঙচুরের পর বন্ধ করা হয়েছে পিৎজা হাট। তবে খোলা রয়েছে কেএফসি।
কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, মূলত কেএফসির ওপর মানুষের ক্ষোভ বেশি। তারা হঠাৎ মিছিল থেকে ইটপাটকেল মারা শুরু করে কেএফসি লক্ষ্য করে। তবে কেএফসি ওপরের ফ্লোরে হওয়ায় এগুলো এসে পড়ে পিৎজা হাটে। আমাদের বেশকিছু কাঁচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আপাতত রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছি।
কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিল। এই অজুহাতে আমাদের রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। আমরাও তো ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করি। আমাদের বললে আমরা সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম। কেন রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হলো।
এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, পুলিশ মিছিলের সামনে ও পেছনে ছিল। মিছিলের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় মাঝখান থেকে কিছু অতি উৎসাহী মানুষ ইসরায়েলের পণ্য রাখার অভিযোগে কয়েকটি রেস্টুরেন্টে পেপসির সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলেছে। কিছু ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে মিছিলে উপস্থিত মুরুব্বিরা তাদের তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রণ করে।