ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০২:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 21

ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইজিপিকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে গত তিন মাস ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে বাংলাদেশের কোথায় তিনি কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বা তিনি কীভাবে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করেছেন, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেয়া হয় সেটি জানানোর জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

শেখ হাসিনা-তাজুল ইসলাম
শেখ হাসিনা-তাজুল ইসলাম

তাজুল ইসলাম বলেন, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। গুম কমিশনের দেয়া রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস। তার বিরুদ্ধে আনা তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি আইজিপির কাছে জানতে চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়েছেন বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালত তদন্ত শেষ করতে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।

এ ছাড়া গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই সময় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন– বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

শেয়ার করুন

ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল

সময় ০২:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইজিপিকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে গত তিন মাস ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে বাংলাদেশের কোথায় তিনি কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বা তিনি কীভাবে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করেছেন, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেয়া হয় সেটি জানানোর জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

শেখ হাসিনা-তাজুল ইসলাম
শেখ হাসিনা-তাজুল ইসলাম

তাজুল ইসলাম বলেন, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। গুম কমিশনের দেয়া রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস। তার বিরুদ্ধে আনা তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি আইজিপির কাছে জানতে চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়েছেন বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালত তদন্ত শেষ করতে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।

এ ছাড়া গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই সময় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন– বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।