এলিয়েনের অস্তিত্ব মিলেছে!
- সময় ০৮:২৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
- / 263
এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে মানুষের কৌতূহল দীর্ঘদিনের। এই মহাবিশ্বে মানুষই কি একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী; না কি আমাদের মতো আরও বুদ্ধিমান প্রাণী আছে, এমন প্রশ্ন সামনে রেখে রীতিমতো গবেষণা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই।
যদিও কয়েক দশকের গবেষণার পরও এই প্রশ্নের কোন ক‚ল কিনারা মেলেনি। তবে বহু মানুষের বিশ্বাস এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে। গবেষণায় এলিয়েন নিয়ে প্রায়ই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার একেবারেই নতুন একটি তথ্য সামনে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এই পৃথিবীতেই এলিয়েন বা ভিনগ্রহী প্রাণীর অস্থিত্ব রয়েছে। তবে আমরা তাদের চিনতে পারছি না। কারণ তারা ছদ্মবেশে থাকছে। হয়তো মানুষের বেশেই রয়েছে।
গবেষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব রয়েছে এবং তারা হয়তো মাটির নীচে, চাঁদে কিংবা পৃথিবীতে মানুষের ভিড়ে মিশে আছে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আকাশে ইউএফও বা আন আইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা তথা ইউএপি বলে যে জিনিসগুলো প্রায়ই মানুষ দেখে সেগুলো এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের স্পেসশিপ হতে পারে। যার মাধ্যমে এলিয়েনরা পৃথিবীতে তাদের স্বজাতি বা বন্ধুদের সাথে দেখা করতে আসে।
গবেষণাপত্রে ‘ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল’ বলে একটি ধারণা বা প্রত্যয়ের ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধারণা দিয়ে সেই সব ভিনগ্রহী প্রাণীকে বোঝানো হচ্ছে, যেগুলো হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মাঝে বসবাস করছে। এই ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল চারটি রূপে আবির্ভূত হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।
আরনা করা হচ্ছে, হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্রাচীন মানব সভ্যতা। এরা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু অবশিষ্ট আকারে বিদ্যমান আছে।
দুই. হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত অ-মানব সভ্যতা, যা কিছু স্থলজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত। এরা পৃথিবীতে গোপনে বসবাসের জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। এগুলো একটি বানরের মতো হোমিনিড বংশধর বা ‘অজানা বুদ্ধিমান ডাইনোসর’ এর বংশধরও হতে পারে।
তিন. এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এই প্রাণীরা মহাজাগতিক বা মানব ভবিষ্যত থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছতে পারে এবং চাঁদের মতো লুকিয়ে থাকতে পারে। চার. ম্যাজিকাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয় ালস: এমন সত্তা, যাদের মাঝে স্বদেশী এলিয়েনদের মতো বৈশিষ্ট কম রয়েছে। এই প্রাণীগুলো মানব জগতের সাথে সম্পর্কিত, তবে কম প্রযুক্তিগত। আর এরা বেশ যাদুকর, যেমন পরী।
গবেষকরা বলেছেন, তাদের এই গবেষণা ‘অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনকভাবে বিবেচিত হতে পারে’। তবে তারা বিজ্ঞানীদেরকে ‘জ্ঞান, ন¤্রতা ও খোলামেলা মনোভাব নিয়ে’ তাদের দাবি বিবেচনা করার আহŸান জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোর পার্লামেন্টে ভিনগ্রহের প্রাণী দাবি করা দুটি মমির প্রদর্শনী করা হয়। যেগুলোর সঙ্গে মানুষের দেহের একেবারেই কোনো মিল নেই। এসব দেহাবশেষের প্রত্যেকটির হাতে তিনটি করে আঙ্গুল। আর মাথাটাও বেশ প্রসারিত।
সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দুটি দেহের একটির পেটে বিজ্ঞানীরা ডিম বা ডিম্বাণু সদৃশ বস্তুর উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন। এ কারণে ওই ‘এলিয়েন’টি গর্ভবতী ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
কার্বন ডেটিংয়ে দেখা গেছে, এই কঙ্কাল দুটি প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো। আরও জানা গেছে, ওই কঙ্কাল দুটির ৩০ শতাংশ ডিএনএ একেবারেই অপরিচিত। অর্থাৎ পৃথিবীতে এত শতাব্দী ধরে যত ধরনের প্রাণী ছিল তাদের কারও সঙ্গেই মিল নেই। এর ভিত্তিতেই মনে করা হচ্ছে, প্রাণী দুটি ভিন গ্রহের।
এতো সব আলামতের পর ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কি না – বিজ্ঞানীরা এখন আর এ প্রশ্নের সন্ধান করছেন না; বরং তারা অপেক্ষা করছেন কবে খুঁজে পাওয়া যাবে তাদের। এ বিজ্ঞানীদের অনেকে সৌরজগৎ তো বটেই, এর বাইরের সুদূর কোন স্থান থেকেও এদের অস্তিত্বের আভাস পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।