এক মাসের মধ্যেই শ্বেতপত্র সরকারের হাতে তুলে দেবেন দেবপ্রিয়

- সময় ০২:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
- / 321
আগামী এক মাসের মধ্যেই (নভেম্বর) আর্থিক খাত নিয়ে শ্বেতপত্র সরকারের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পরিকল্পনা কমিশনে সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটির বৈঠকে তিনি কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিখাতে অর্থ ব্যয়ে বড় ধরনের অনিয়ম বা দুর্ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংক, জ্বালানি ও মেগা প্রকল্পেও নানা অনিয়ম রয়েছে।
এসব কিছু তুলে ধরে সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি সংস্কারের সুপারিশ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই আর্থিক খাত নিয়ে শ্বেতপত্র সরকারের হাতে তুলে দেয়া হবে।
এর আগে, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে গত ২৮ আগস্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এটি সামষ্টিক অর্থনীতির পাশাপাশি খাতওয়ারি পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করছে।
এমনকি, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চাপে পড়ে ইচ্ছা থাকলেও সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অর্থ ব্যয়ের প্রাক্কলন করতে পারেননি আমলারা। এ কারণেই এসব প্রাক্কলনের ভিত বেশ দুর্বল। এমন তথ্য জানিয়েছিল শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, খতিয়ে দেখা হবে কোন ভিত্তিতে দেয়া হতো জাতীয় আয় ও মূল্যস্ফীতির হিসাব।
মেগা মেগা সব প্রকল্প দর্শনে সাজানো হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা। যা অনেকগুলোর বাস্তবায়ন শেষে ভোগও করছে দেশের মানুষ। তবে এসব বাস্তবায়নে হয়েছে বড় অঙ্কের অর্থের নয়-ছয়।
দুর্নীতির কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি এসব অভিযোগের ভিত্তি খুঁজতে আগস্ট থেকে কাজ করছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এরই অংশ হিসেবে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের নাজিয়া সালমা ভবনে সরকারের ২৪টি দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। যেখানে আলোচনা হয় যেসব তথ্য-উপাত্তে ভর করে সাজানো ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে বিগত সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা; তার ভিত আসলে কতটা মজবুত।