ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একা হয়ে যাচ্ছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১০:৫৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 26

বিএনপি

বাংলাদেশের রাজনীতি আগামী দিনে কোন পথে এগুচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দেশে এখন নানা ধরনের গুঞ্জণ বিরাজ করছে। ধারনা করা হয়েছিল, শেখ হাসিনার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর মাঠে একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে বিএনপি’র। কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে তেমনটি মনে হচ্ছে না। বরং দলটির নেতা-কর্মীদের মুখে নতুন ষড়যন্ত্রের কথা শোনা যাচ্ছে; যেমনটি বলা হচ্ছিল ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত সরকারের সময়।

আবার দলটির পক্ষ থেকে বারবার নির্বাচনের দাবি তোলা হলেও; তাতে সায় দিচ্ছে না বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াত ইসলামীসহ অনান্য দলগুলো। অর্থাৎ দ্রুত নির্বাচনের লড়াইয়ে একাই মাঠে রয়েছে বিএনপি। কিন্তু কেন অনান্য দল নির্বাচনের জন্য আরো সময় নিতে চাচ্ছে?

মাঠের নানা জরিপে বলা হচ্ছে; দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে সেখানে নিরুঙ্কুশ জয় পাবে বিএনপি। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলে কে থাকবে; তা নির্ভর করছে পতিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনের অংশ গ্রহণ করা না করার উপর।

এ অবস্থায় যেসব দল বিএনপির কাছ থেকে আগামী নির্বাচনে আসন ছাড় পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, তারাই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদের একাংশ, ১২ দলীয় জোট, গণসংহতি আন্দোলনসহ জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। অন্যরা দিচ্ছে না তাড়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত বিরোধী দলের অবস্থান নিশ্চিত করতেই আরেকটু সময় চাচ্ছে বিএনপি বাদে অনান্য দলগুলো। যাতে এই সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করে তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়। আর এক্ষেত্রে দলগুলো রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের ধোয়া তুলছে।

নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। অভ্যুত্থানের সূত্রপাত ঘটানো ছাত্র নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের বিচারের আগে নির্বাচন হতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনেরও অগ্রাধিকারে রয়েছে সংস্কার।

রাজনৈতিক সূত্রগুলোর ভাষ্য, নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের সম্ভাবনা এবং পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কাতেই বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায়। অন্য দলগুলোর এককভাবে জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ভোটের জন্য তাড়াহুড়াও কম।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশে নির্বাচনের কথা বলেছেন। তাঁর প্রেস সচিব জানিয়েছেন, নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের জুনে।

এ অবস্থায় বিএনপি বলছে, অস্পষ্টতা কাটেনি। সংস্কারে গুরুত্ব দেওয়া জামায়াত নির্বাচনের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময়ের কথা বলছে।

ছাত্র নেতৃত্ব রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেও মাঠ পর্যায়ে খুব বেশি সাড়া নেই। তাদের দুই সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থানা, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে কমিটি করলেও ওয়ার্ড, ইউনিয়নে সংগঠন বিস্তার করতে পারেনি।

শেয়ার করুন

একা হয়ে যাচ্ছে বিএনপি

সময় ১০:৫৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের রাজনীতি আগামী দিনে কোন পথে এগুচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দেশে এখন নানা ধরনের গুঞ্জণ বিরাজ করছে। ধারনা করা হয়েছিল, শেখ হাসিনার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর মাঠে একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে বিএনপি’র। কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে তেমনটি মনে হচ্ছে না। বরং দলটির নেতা-কর্মীদের মুখে নতুন ষড়যন্ত্রের কথা শোনা যাচ্ছে; যেমনটি বলা হচ্ছিল ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত সরকারের সময়।

আবার দলটির পক্ষ থেকে বারবার নির্বাচনের দাবি তোলা হলেও; তাতে সায় দিচ্ছে না বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াত ইসলামীসহ অনান্য দলগুলো। অর্থাৎ দ্রুত নির্বাচনের লড়াইয়ে একাই মাঠে রয়েছে বিএনপি। কিন্তু কেন অনান্য দল নির্বাচনের জন্য আরো সময় নিতে চাচ্ছে?

মাঠের নানা জরিপে বলা হচ্ছে; দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে সেখানে নিরুঙ্কুশ জয় পাবে বিএনপি। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলে কে থাকবে; তা নির্ভর করছে পতিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনের অংশ গ্রহণ করা না করার উপর।

এ অবস্থায় যেসব দল বিএনপির কাছ থেকে আগামী নির্বাচনে আসন ছাড় পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, তারাই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদের একাংশ, ১২ দলীয় জোট, গণসংহতি আন্দোলনসহ জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। অন্যরা দিচ্ছে না তাড়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত বিরোধী দলের অবস্থান নিশ্চিত করতেই আরেকটু সময় চাচ্ছে বিএনপি বাদে অনান্য দলগুলো। যাতে এই সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করে তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়। আর এক্ষেত্রে দলগুলো রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের ধোয়া তুলছে।

নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। অভ্যুত্থানের সূত্রপাত ঘটানো ছাত্র নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের বিচারের আগে নির্বাচন হতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনেরও অগ্রাধিকারে রয়েছে সংস্কার।

রাজনৈতিক সূত্রগুলোর ভাষ্য, নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের সম্ভাবনা এবং পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কাতেই বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায়। অন্য দলগুলোর এককভাবে জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ভোটের জন্য তাড়াহুড়াও কম।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশে নির্বাচনের কথা বলেছেন। তাঁর প্রেস সচিব জানিয়েছেন, নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের জুনে।

এ অবস্থায় বিএনপি বলছে, অস্পষ্টতা কাটেনি। সংস্কারে গুরুত্ব দেওয়া জামায়াত নির্বাচনের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময়ের কথা বলছে।

ছাত্র নেতৃত্ব রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেও মাঠ পর্যায়ে খুব বেশি সাড়া নেই। তাদের দুই সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থানা, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে কমিটি করলেও ওয়ার্ড, ইউনিয়নে সংগঠন বিস্তার করতে পারেনি।