উপদেষ্টা রিজওয়ানার বক্তব্যের কাউন্টার দিলেন রিজভী

- সময় ০৬:১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 112
এবার পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্যের কাউন্টার দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সংস্কার নিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ভুল ও বিভ্রান্তিকর বলেও দাবি করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংস্কার প্রসঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্যকে ভুল ও বিভ্রান্তিকর বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য দেশকে বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টার প্রতিফলন।’
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে গতকাল (শুক্রবার) একজন উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা। উপদেষ্টার বক্তব্য ভুল ও বিভ্রান্তিকর।
‘সংস্কারের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা এবং রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করা ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতার লক্ষণ।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে সব সংস্কার রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে। সংসদে সব সংস্কার করা হয়েছে। ব্রিটেন, আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী সংস্কার করেছেন রাজনীতিবিদরা।’
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘প্রতিটি দেশ ও যুগে সমাজের পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংস্কার করা হয়। সমাজের অনিয়ম একদিনে দূর করা যায় না। এজন্য সব পর্যায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বিএনপির এই নেতা পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে তাদের দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার এখন রাজনীতি ও বিরাজনীতিকরণের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে।’
বাংলাদেশকে লক্ষ্যবস্তু করে অপপ্রচার ও ভুল তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি মুক্ত জাতি, আমাদের দেশ স্বাধীন এবং সার্বভৌম। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তাই এই জাতি কারও হুমকির কাছে মাথানত করবে না।’
এর আগে শুক্রবার কয়েক দশক আগে রাজনৈতিক সংস্কারে অগ্রগতির অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে গত ৫৩ বছর তারা কি করেছেন? রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করতে পারেন, তাহলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হতো না। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দেয় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে এর জন্য কোন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি।
অন্যদিকে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।