ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উখিয়ার পালংখালীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া
  • সময় ১২:০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 213

যুবক পিটিয়ে হত্যা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী পুঁটিবনিয়া নামক এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

নিহত মোহাম্মদ আরফাত (২২) উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড় এর পুঁটিবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাজি জালাল আহমদ প্রকাশ জালাল হাজির ছেলে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার পালংখালী শফিউল্লাহ কাটা পুঁটিবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোছাইন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, “প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে চুরির অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন লোক নিহত যুবককে মারধর করে। তাঁরা নিহতের প্রতিবেশী বলে জানতে পেরেছি। মারধরের পর তাঁকে পালংখালী শফিউল্লাহ কাটা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনের খেলার মাঠের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় নির্যাতনকারীরা।”

ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন বলেন, “সেনাবাহিনীর সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় ঐ যুবককে উদ্ধার করে পালংখালী তাজমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।”

নিহত যুবক মোহাম্মদ আরফাতকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় একটি পক্ষ পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর পিতা হাজী জালাল আহমদ।

নিহত যুবকের বড় ভাই মোহাম্মদ রুবেল রাত সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ করে বলেন, “পুঁটিবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত: বদি আলম এর পুত্র জাহেদ আলম, আব্দুল খালেক এর পুত্র আবুল বশর (প্রকাশ আব্বুয়া), আব্দুল হাফেজ এর পুত্র শাহাদাত হোসেন, আবুরাফ এর পুত্র হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ শফি এর পুত্র গফুর মিয়া ও হাফেজ আব্দুল্লার পুত্র সাহাব উদ্দিন সহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী শনিবার দুপুর থেকে চুরির অভিযোগে তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় মারধর করেন।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার ভাইকে তাঁরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। মেরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনে খেলার মাঠের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে যারা জড়িত তাঁদের বিচার দাবি করছি।

তিনি বলেন, একইভাবে আমার আর এক ভাই জসিম উদ্দিনকে তাদের সহযোগীরা ২০১২ সালে গলা কেটে হত্যা করেছিল। এক ভাইয়ের হত্যার বিচার শেষ হয়নি এখনো। জসিম উদ্দিন যারা হত্যা করেছিল তাদের সহযোগীরাই এ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।”

“১২ বছরের ব্যবধানে একই পরিবারের দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

উখিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে পুলিশ নিহত যুবক মোহাম্মদ আরফাত এর মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

উখিয়ার পালংখালীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সময় ১২:০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী পুঁটিবনিয়া নামক এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

নিহত মোহাম্মদ আরফাত (২২) উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড় এর পুঁটিবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাজি জালাল আহমদ প্রকাশ জালাল হাজির ছেলে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার পালংখালী শফিউল্লাহ কাটা পুঁটিবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোছাইন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, “প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে চুরির অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন লোক নিহত যুবককে মারধর করে। তাঁরা নিহতের প্রতিবেশী বলে জানতে পেরেছি। মারধরের পর তাঁকে পালংখালী শফিউল্লাহ কাটা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনের খেলার মাঠের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় নির্যাতনকারীরা।”

ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন বলেন, “সেনাবাহিনীর সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় ঐ যুবককে উদ্ধার করে পালংখালী তাজমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।”

নিহত যুবক মোহাম্মদ আরফাতকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় একটি পক্ষ পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর পিতা হাজী জালাল আহমদ।

নিহত যুবকের বড় ভাই মোহাম্মদ রুবেল রাত সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ করে বলেন, “পুঁটিবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত: বদি আলম এর পুত্র জাহেদ আলম, আব্দুল খালেক এর পুত্র আবুল বশর (প্রকাশ আব্বুয়া), আব্দুল হাফেজ এর পুত্র শাহাদাত হোসেন, আবুরাফ এর পুত্র হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ শফি এর পুত্র গফুর মিয়া ও হাফেজ আব্দুল্লার পুত্র সাহাব উদ্দিন সহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী শনিবার দুপুর থেকে চুরির অভিযোগে তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় মারধর করেন।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার ভাইকে তাঁরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। মেরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনে খেলার মাঠের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে যারা জড়িত তাঁদের বিচার দাবি করছি।

তিনি বলেন, একইভাবে আমার আর এক ভাই জসিম উদ্দিনকে তাদের সহযোগীরা ২০১২ সালে গলা কেটে হত্যা করেছিল। এক ভাইয়ের হত্যার বিচার শেষ হয়নি এখনো। জসিম উদ্দিন যারা হত্যা করেছিল তাদের সহযোগীরাই এ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।”

“১২ বছরের ব্যবধানে একই পরিবারের দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

উখিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে পুলিশ নিহত যুবক মোহাম্মদ আরফাত এর মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।