ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ইসকন ’জঙ্গি সংগঠন,  নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০৩:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 38

সাভার ইসকন বিক্ষোভ

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)কে জঙ্গি সংগঠন দাবি করে নিষিদ্ধ করার জন্য মহাসড়কে নেমে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে সাভার-আশুলিয়ার ছাত্র, জনতাসহ বিভিন্ন মসজিদের মুসুল্লিরা। এ সময় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার দাবি করেন তারা।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজ পরে সাভারের মডেল মসজিদের সামনে ও আশুলিয়ার বাইপাইল  এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

জুমার নামাজ শেষে আশুলিয়া ও সাভারে দেখা যায়, বিভিন্ন মসজিদ থেকে দলে দলে মুসল্লি, ছাত্র-জনতা বের হয়ে বাইপাইল ও সাভারের মডেল মসজিদের সামনে সমবেত হন। এ সময় বিভিন্ন শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। হাজার হাজার জনতা এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লি, ছাত্র-জনতা মসজিদ থেকে বের হয়ে বাইপাইল ও মডেল মসজিদের সামনে সমবেত হতে থাকেন। এ সময় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

ইসকন চিন্ময় দাস
ইসকন চিন্ময় দাস

ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন  দাবি করে তারা বলেন, ‘ইসকন’ একটি জঙ্গি সংগঠন। এ সংগঠনকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা বাংলাদেশ কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না। তাদের বেশির ভাগ কার্যক্রম দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হেনেছে। শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত নয়, এটি দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। আমরা এদেশে ধর্ম নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। ‘ইসকন’কে নিষিদ্ধ করতেই হবে।

ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে বক্তারা বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে পরিচিত। আমরা গণঅভ্যুত্থানের পরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির পাহারা দিয়েছি। আমরা হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নয়, জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। ‘ইসকন’ আর সনাতন ধর্মাবলম্বী এক নয়। আমরা এ উগ্রবাদী সংগঠনের সাম্প্রদায়িক সংঘাতের বিরুদ্ধে কথা বলছি। হিন্দু ভাই-বোনদেরও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান করছি।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, ‘ইসকন’ এর নামে তারা দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করছে। এদের কর্মকাণ্ড শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে না, তারা বাঙালি জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এ সময় কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা ও মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

‘ইসকন ’জঙ্গি সংগঠন,  নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

সময় ০৩:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)কে জঙ্গি সংগঠন দাবি করে নিষিদ্ধ করার জন্য মহাসড়কে নেমে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে সাভার-আশুলিয়ার ছাত্র, জনতাসহ বিভিন্ন মসজিদের মুসুল্লিরা। এ সময় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার দাবি করেন তারা।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজ পরে সাভারের মডেল মসজিদের সামনে ও আশুলিয়ার বাইপাইল  এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

জুমার নামাজ শেষে আশুলিয়া ও সাভারে দেখা যায়, বিভিন্ন মসজিদ থেকে দলে দলে মুসল্লি, ছাত্র-জনতা বের হয়ে বাইপাইল ও সাভারের মডেল মসজিদের সামনে সমবেত হন। এ সময় বিভিন্ন শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। হাজার হাজার জনতা এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লি, ছাত্র-জনতা মসজিদ থেকে বের হয়ে বাইপাইল ও মডেল মসজিদের সামনে সমবেত হতে থাকেন। এ সময় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

ইসকন চিন্ময় দাস
ইসকন চিন্ময় দাস

ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন  দাবি করে তারা বলেন, ‘ইসকন’ একটি জঙ্গি সংগঠন। এ সংগঠনকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা বাংলাদেশ কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না। তাদের বেশির ভাগ কার্যক্রম দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হেনেছে। শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত নয়, এটি দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। আমরা এদেশে ধর্ম নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। ‘ইসকন’কে নিষিদ্ধ করতেই হবে।

ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে বক্তারা বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে পরিচিত। আমরা গণঅভ্যুত্থানের পরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির পাহারা দিয়েছি। আমরা হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নয়, জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। ‘ইসকন’ আর সনাতন ধর্মাবলম্বী এক নয়। আমরা এ উগ্রবাদী সংগঠনের সাম্প্রদায়িক সংঘাতের বিরুদ্ধে কথা বলছি। হিন্দু ভাই-বোনদেরও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান করছি।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, ‘ইসকন’ এর নামে তারা দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করছে। এদের কর্মকাণ্ড শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে না, তারা বাঙালি জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এ সময় কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা ও মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।