০১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানের হয়ে লড়বে চীন-রাশিয়া!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১০:৩১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / 44

ইরানের হয়ে লড়বে চীন-রাশিয়া!

বিশ্ব রাজনীতির এক নতুন কৌশলগত অধ্যায়ের সূচনা করছে তিন পরাশক্তি – চীন, রাশিয়া এবং ইরান। যৌথ সামুদ্রিক মহড়ার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক শক্তির মঞ্চে এক নতুন বার্তা দিচ্ছে।

এই মহড়ার মূল লক্ষ্য কী? পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সমুদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করা। ইরানের চাবাহার বন্দরে শুরু হতে চলা এই মহড়া শুধু একটি সামরিক অনুশীলন নয়, বরং একটি সুস্পষ্ট বার্তা- আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করবে এই তিন দেশ।

রাশিয়া, চীন এবং ইরানের নৌবাহিনী এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ, কমব্যাট ভেসেল এবং লজিস্টিক জাহাজ নিয়ে। আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জলদস্যুতা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম – এসবই এই মহড়ার অন্তর্ভুক্ত।

তিন দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও মজবুত করতে এই মহড়ার গুরুত্ব অনেক। প্রশিক্ষণ চলছে রেসকিউ অপারেশন, কৌশলগত যুদ্ধ পরিকল্পনা এবং বাস্তবসম্মত সামরিক অনুশীলনের মাধ্যমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মহড়া শুধু সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তিশালী বার্তাও দিচ্ছে। পশ্চিমা আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানানো এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্বাধীন উদ্যোগ গ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এই তিন দেশ।

ইরানের হয়ে লড়বে চীন-রাশিয়া!
ইরানের হয়ে লড়বে চীন-রাশিয়া!

বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ চীন, শক্তিশালী সামরিক শক্তি রাশিয়া এবং ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরান – এই তিন দেশের একসঙ্গে কাজ করা বৈশ্বিক সামরিক কৌশলে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

এই যৌথ মহড়া শুধু প্রশিক্ষণ নয়, এটি ভবিষ্যৎ সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি রূপরেখা। তাদের লক্ষ্য, একটি অভিন্ন সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।

চাবাহার বন্দর, ওমান উপসাগরের কাছে অবস্থিত একটি কৌশলগত অঞ্চল। উত্তর ভারত মহাসাগরের এই অংশে এই মহড়ার আয়োজনের অর্থ সুস্পষ্ট – বৈশ্বিক শক্তিগুলোর সামুদ্রিক উপস্থিতির ইঙ্গিত এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জোরদার করা।

এই মহড়া নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব কী ভাবছে? অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা যে চীন, রাশিয়া এবং ইরান তাদের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করছে।

তিনটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের রোশানলে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক চাপ এবং সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে এই দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এই মহড়া সেই ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এই মহড়া কবে শেষ হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটি যে বিশ্ব রাজনীতির চিত্র পাল্টে দিচ্ছে, তা নিশ্চিত। ভবিষ্যতে আমরা দেখতে পাবো এই তিন পরাশক্তির মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা এবং নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ।

শেয়ার করুন

ইরানের হয়ে লড়বে চীন-রাশিয়া!

সময় ১০:৩১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

বিশ্ব রাজনীতির এক নতুন কৌশলগত অধ্যায়ের সূচনা করছে তিন পরাশক্তি – চীন, রাশিয়া এবং ইরান। যৌথ সামুদ্রিক মহড়ার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক শক্তির মঞ্চে এক নতুন বার্তা দিচ্ছে।

এই মহড়ার মূল লক্ষ্য কী? পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সমুদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করা। ইরানের চাবাহার বন্দরে শুরু হতে চলা এই মহড়া শুধু একটি সামরিক অনুশীলন নয়, বরং একটি সুস্পষ্ট বার্তা- আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করবে এই তিন দেশ।

রাশিয়া, চীন এবং ইরানের নৌবাহিনী এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ, কমব্যাট ভেসেল এবং লজিস্টিক জাহাজ নিয়ে। আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জলদস্যুতা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম – এসবই এই মহড়ার অন্তর্ভুক্ত।

তিন দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও মজবুত করতে এই মহড়ার গুরুত্ব অনেক। প্রশিক্ষণ চলছে রেসকিউ অপারেশন, কৌশলগত যুদ্ধ পরিকল্পনা এবং বাস্তবসম্মত সামরিক অনুশীলনের মাধ্যমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মহড়া শুধু সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তিশালী বার্তাও দিচ্ছে। পশ্চিমা আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানানো এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্বাধীন উদ্যোগ গ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এই তিন দেশ।

ইরানের হয়ে লড়বে চীন-রাশিয়া!
ইরানের হয়ে লড়বে চীন-রাশিয়া!

বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ চীন, শক্তিশালী সামরিক শক্তি রাশিয়া এবং ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরান – এই তিন দেশের একসঙ্গে কাজ করা বৈশ্বিক সামরিক কৌশলে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

এই যৌথ মহড়া শুধু প্রশিক্ষণ নয়, এটি ভবিষ্যৎ সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি রূপরেখা। তাদের লক্ষ্য, একটি অভিন্ন সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।

চাবাহার বন্দর, ওমান উপসাগরের কাছে অবস্থিত একটি কৌশলগত অঞ্চল। উত্তর ভারত মহাসাগরের এই অংশে এই মহড়ার আয়োজনের অর্থ সুস্পষ্ট – বৈশ্বিক শক্তিগুলোর সামুদ্রিক উপস্থিতির ইঙ্গিত এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জোরদার করা।

এই মহড়া নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব কী ভাবছে? অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা যে চীন, রাশিয়া এবং ইরান তাদের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করছে।

তিনটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের রোশানলে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক চাপ এবং সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে এই দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এই মহড়া সেই ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এই মহড়া কবে শেষ হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটি যে বিশ্ব রাজনীতির চিত্র পাল্টে দিচ্ছে, তা নিশ্চিত। ভবিষ্যতে আমরা দেখতে পাবো এই তিন পরাশক্তির মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা এবং নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ।